ছবি: প্রতীকী
একুশে মিডিয়া, নীলফামারী রিপোর্ট:
ভাসমান কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নীলফামারী শহরবাসী। সোমবার (৩০ জুলাই) সকালে শহরের শাহীপাড়া মোড়ে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে কামড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে কুকুর।
এছাড়া শহরের হাঁস-মুরগী বিক্রেতা জামাল উদ্দিন, শাহীপাড়ার হাম্বু পাগলা, মহিলা কলেজের সামনে থাকা রিকশা চালক হামিদুল ইসলাম, লন্ড্রি বাজারের চায়ের দোকানী মনি ও তার মা আছিয়া বেগমসহ শহরের বাড়াইপাড়া, মিলনপল্লী, হাড়োয়া ও কলেজ পাড়া এলাকার প্রায় ২৫ জন কুকুরের কামড়ে গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
এদিকে সকালে বেপরোয়া একটি কুকুর নাবিল কাউন্টারের সামনে একজনকে কামড় দিয়ে লন্ড্রি বাজারের কাছে আর এক যুবককে কামড়ের উপক্রম হলে স্থানীয়রা কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। একই ভাবে বাড়াইপাড়া ও মিলনপল্লী এলাকার যুবকরাও একটি কুকুরকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। একই দিনে রিকশা শ্রমিক নেতা ছাইদুর রহমানের একটি ছাগলকে কামড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে ভাসমান একটি কুকুর।
নীলফামারী সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ২০জন হাসাপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। স্থানীয়রা জানায় দিন-রাত সমানে ভাসমান কুকরের উৎপাতে রাস্তায় পা বাড়ানোই দায় হয়ে পড়েছে। শহরের পাড়া মহল্লার অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক, হাট-বাজার, খেলার মাঠ সব খানেই ভাসমান কুকুরের অবাধ বিচরণ।
নীলফামারী পৌরসভার সচিব মশিউর রহমান জানান আইনি জটিলতার কারনে শহরের কুকুর নিধন সম্ভব হচ্ছেনা। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment