‘তিন সিটিতে কারচুপির আভাস’ সংবাদ সম্মেলনে: রিজভী-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday, 16 July 2018

‘তিন সিটিতে কারচুপির আভাস’ সংবাদ সম্মেলনে: রিজভী-একুশে মিডিয়া

একুশে মিডিয়া, রাজধানী ১৬ জুলাই ২০১৮ ইং রিপোর্ট:
আসন্ন রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট কারচুপির আভাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১৬ জুলাই) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘খুলনা ও গাজীপুরের মতো তিন সিটিতেও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে’- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু ভোট কারচুপির সুস্পষ্ট আভাস দিলেন। কারণ তিন সিটিতেই চলছে নৌকা মার্কার পক্ষে নির্বাচনী অনাচার আর ক্ষমতাসীনদের অবৈধ দাপট। গ্রেফতার ও গ্রেফতারের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শনের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য প্রচণ্ড মহড়া চলছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চলছে শাসক দলের পক্ষে আওয়ামী নেতাদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক। এমনকি জেলা প্রশাসক নৌকা মার্কার অনুকূলে চরম পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। অন্যদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের অফিস ভাংচুর, নেতাকর্মীদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আওয়ামী ক্যাডাররা এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। পাশাপাশি পুলিশও বসে নেই, খুলনা ও গাজীপুরের মতো আওয়ামী প্রার্থীর পক্ষে পুরোদমে নেমে পড়েছে। রাজশাহী মহানগরীর হাদির মোড় এলাকায় খাদেমুল ইসলাম স্কুলের সামনে ধানের শীষের প্রচার অফিস আওয়ামী ক্যাডারদের কর্তৃক ভাংচুর হওয়ার পর পুলিশ এসে তালা লাগিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বরিশাল ও সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতে চলছে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে হুমকি-ধামকি। মন্ত্রীর পদমর্যাদায় দায়িত্বে থাকার পরেও আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ তার ছেলেকে বিজয়ী করার জন্য নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন এবং তিনি কোনো নির্বাচনী আচরণবিধিই মানছেন না। তাছাড়া তিনি ভোটারদের ওপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। মোট কথা তিন সিটিতেই সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বিদ্যমান নেই। নিরাপদে ভোট দিতে পারবে কী না সেটি নিয়ে ভোটারদের মধ্যে এখনও শঙ্কা কাটেনি। নির্বাচন কমিশনের কাছে উল্লিখিত বিষয়ে ধানের শীষের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হলেও সেগুলো আমলে নেয়া হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো মানে অরণ্যে রোদন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি শারীরিকভাবে কতটুকু গুরুতর অসুস্থ সে খবর জানতেও দিচ্ছে না কারা কর্তৃপক্ষ। গত পরশু দিন পরিবারের সদস্যরা তাঁর সাথে দেখা করতে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ বাধা দেয়। অসুস্থতার খবর জানতে পারার পরও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কারা ভবনের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা করার অনুমতি দেয়া হয়নি। কারা কর্তৃপক্ষ দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে শুধু উদাসীনই নয়, সরকারের নির্দেশে কোনো ভয়ঙ্কর মাস্টারপ্ল্যানের দিকে এগুচ্ছে কিনা তা নিয়ে জনমনে এক বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার বিষয়টি শুধু এড়িয়েই যাচ্ছে না বরং জাতীয় সংসদে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রেখেছেন। বলেছেন - বেগম জিয়ার অসুস্থতা না কি বাহানা। ৭৩ বছর বয়স্ক একজন অসুস্থ নারীর প্রতি নারী প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের ব্যঙ্গোক্তি করা নারী জাতির জন্য কলঙ্ক। আমি দলের পক্ষ থেকে সরকারের এই নিষ্ঠুর আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে ইউনাইটেড হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করে সুচিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গতকালও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। কোটা সংস্কারের দাবিতে এবং ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফেরার সময় ছাত্রলীগ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগ বিবেকহীন মনুষ্যত্বহীন উন্মাদনায় ক্যাম্পাসে এক আগ্রাসী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এরা ধারালো ছুরি, হাতুড়ি, বাঁশের লাঠি, হকিস্টিক ব্যবহার করে ঝাঁপিয়ে পড়ছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর, তাদেরকে গুমের হুমকি প্রদান, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শারীরিকভাবে নাজেহাল, গালাগালি, বক্তৃতার সময় মাইক বন্ধ করে দেয়া ও প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। ছাত্রীদেরকে শুধু লাঞ্ছিতই করছে না, ধর্ষণেরও হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী সরকারের ছাত্রলীগ নামক সোনার ছেলেরা। এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরাও। অথচ ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের নামে কিছু হচ্ছে কী না জানতে হবে। নিজ দলের অনাচার ও অপকর্ম তার না জানারই কথা, চোখে না পড়ারই কথা। ছাত্রলীগকে রক্তের নেশা পাইয়ে দিতে উৎসাহিত করেছে আওয়ামী নেতারাই।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, আহমেদ আজম খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দীন আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। একুশে মিডিয়া।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages