একুশে মিডিয়া, রাশিয়া বিশ্বকাপ রিপোর্ট:
এবারই প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিলো ক্রোয়েশিয়া। মাত্র পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে এসেই বিশ্বজয়ের খুব কাছে পৌঁছেছিলো দলটি। কিন্তু সুযোগটা হাতে ধরা দিয়েও যেন দিলো না স্যামুয়েলদের কাছে। স্বপের কাপ স্বপ্নই থেকে গেল রাফায়েল ভারানে ও লুকাস হার্নান্দেজের।
অন্যদিকে ১৯৯৮ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটালো ফরাসি ফুটবলাররা। বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি জিতে জাতীয় দিবসের এই উৎসবকে রঙিন করতে চলেছে তারা। খেলার নির্ধারিত সময়ে ৪-২ গোলে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করে ফ্রান্স।
খেলার ১৮ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে গ্রিজম্যানের ফ্রি কিকে মানজুকিচের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। এরপর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে গোলটি সমতায় নিয়ে আসে ক্রোয়েশিয়া। ঠিক ১০ মিনিট পর চমৎকার গোলে দলকে খেলায় ফেরান ইভান পেরিসিচ। বক্সে ঢুকেই তার চমৎকার প্লেসিং বল ঠিকানা খুঁজে পায় জালে।
তবে সমতায় ফিরেও সেটা ধরে রাখতে পারলো না ক্রোয়েশিয়া। বক্সের মধ্যে হাতে বলা লাগিয়ে গতি থামান ইভান পেরিসিচ। রেফারি প্রথমে পেনাল্টি না দিলেও ফ্রান্স ফুটবলারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টির নির্দেশ দেন।
স্পট কিক নিতে আসেন ফ্রান্স তারকা আন্তোনিও গ্রিজম্যান।
বিরতির পর ৪৮তম মিনিটে ম্যাচে সমতা আনতে পারতো ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ইভান পেরিসিচের দুর্দান্ত শট স্পট জাম্প দিয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে তুলে দেন।
৫৯তম মিনিটে ফ্রান্সকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন পল পগবা। ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে বাঁ-পায়ে জোরালো শট নেন পগবা। গোলরক্ষক সুবাসিচকে ফাঁকি দিয়ে বল চলে যায় জালে। কাইলিয়ান এমবাপ্পের গোলে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ৬৫তম মিনিটে গোলটি করেছেন তিনি। ডি-বক্সের সামনে থেকে রকেট গতির শটে বল জালে পাঠান তিনি। ৬৯তম মিনিটে ব্যবধান কমান ক্রোয়েশিয়ার মারিও মানজুকিচ।
বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিলো সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবং প্রথমবার ফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়া।
চাপ কাজ করছিলো দু’দলের উপরেই। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে বিশ্বকাপের বিশ্বকাপের ফাইনালে এসেছে তারা। ফ্রান্স দুর্দান্ত খেলে ফেবারিটের মতই ফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে লড়াকু মানসিকতাই ক্রোয়েশিয়াকে তাদের ইতিহাসের সেরা সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এনেছিলো। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment