যে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা শান্তিতে থাকে না, সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কীভাবে শান্তিতে নোবেল পায়’?-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, 15 July 2018

যে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা শান্তিতে থাকে না, সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কীভাবে শান্তিতে নোবেল পায়’?-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, রাজধানী রিপোর্ট:

‘যে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা শান্তিতে থাকে না, সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কীভাবে শান্তিতে নোবেল পায়’? নিজ কার্যালয়ের সামনে এভাবেই নিজের ক্ষোভের কথা বলেন পঁচিশ বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী রফিকুল ইসলাম।


তিনি আরও জানান, দশ বছর আগে গ্রামীণ ব্যাংকে অস্থায়ীভাবে পিয়নের পদে যোগদান করেন। চাকরির নিয়োগপত্র অনুযায়ী নয় মাসের মধ্যে তাদের চাকরি স্থায়ী করার কথা। নয় মাসের বেশি কোনও কর্মচারী দৈনিক কাজের ভিত্তিতে টাকার মাধ্যমে চাকরি করতে পারবে না। এই সব নিয়ম শুধু কাগজেই রয়েছে। গত পঁচিশ বছরে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মজীবনে এগুলোর কোনও কিছুই দেখতে পাননি তিনি।
রোববার গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় রফিকুল ইসলামের মতো এমন অনেকের ক্ষোভের কথা।   
আন্দোলনে অবস্থানকারী ফজলে রাব্বি বলেন, জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় গ্রামীণ ব্যাংককে কাটিয়েছি। এখানে আমাদের কোনও ছুটি নাই। আমরা ঈদের দিনও কাজ করেছি। তার বিনিময়ে আমরা টাকা পেয়েছি কিন্তু কোনও স্বীকৃতি পাইনি। আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের আর পাঁচটা স্টাফের মতো সম্মান চাই।
আন্দোলনকারীরা জানান, বর্তমানে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া পিয়ন, গার্ড ও টাইপিস্টরা আন্দোলন করছে। গ্রামীণ ব্যাংকের অস্থায়ী পদে এমন তিন হাজার কর্মচারী আছে। তাদেরকে পুরোটায় অস্বীকার করছে গ্রামীণ ব্যাংক।
গ্রামীণ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সাল থেকে গ্রামীণ ব্যাংক অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়। তখন তাদের বেতন ছিল দৈনিক ৩০ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ টাকা। এছাড়া ঈদের সময় তারা ২৫০০ টাকা করে পান। অতিরিক্ত ডিউটি করলে বাড়তি টাকা পাওয়ারও সুযোগ রয়েছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রশাসন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ কে এম মুক্তাদুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন- চতুর্থ শ্রেণীর চাকরি স্থায়ীকরণের ক্ষমতা গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজমেন্টের নাই। এটা গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের দায়িত্ব। কিন্তু এখন গ্রামীণ ব্যাংকের কোনও বোর্ড নাই। নতুন করে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। আগস্ট মাসে এই প্রক্রিয়া শেষ হবে। এই আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে তাদের সাথে আমাদের কথা হয়। আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি যে, নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার প্রথম মিটিংয়ে আমরা তাদের চাকরি স্থায়ী করার বিষয়টি প্রস্তাব করবো। কিন্তু তারা তাতে আশ্বস্ত হতে পারেনি।
এই ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক জলিল বলেন, তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদেরকে পুরোটাই অস্বীকার করেছে। তারা আমাদের সাথে কোনও প্রকার সমঝোতায় যায়নি। তাই আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। একুশে মিডিয়া।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages