একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ এর রিপোর্ট:
বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া ও খাটখালী চ্যানেল ভিত্তিক জলদস্যুরা আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ।তাদের ডাকাতি ,মারধর ও লুটপাটের কারনে জেলেরা অসহায় হয়ে পড়েছে ।গত কাল বাশঁখালীর শেখেরখীলের ৪টি গহিরার ৩টি সহ ৭টি বোট ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে । জলদস্যুরা মাছ ছিনিয়ে নেওয়া সহ নগদ অর্থ না দিলে জেলেদের জিন্মি ও হত্যা করার হুমকি দিয়ে ফিশিং বোট ছাড়িয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছে বোট মালিকগন ।জানা যায় শুক্রবার বাশঁখালীর শেখেরখীল এলাকার হানিফ কোম্পানী,ইব্রাহিম কোম্পানী,জাহাঙ্গীর কোম্পানী ও আবু ছিদ্দিক কোম্পানীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে ফেরার পথে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া ও খাটখালী চ্যানেল ভিত্তিক জলদস্যুর দের কবলে পড়ে । তারা জেলেদের মারধর করে কয়েক লক্ষাধিক টাকার মাছ লুটের পর ফিশিং বোট গুলো জিম্মি করে রাখে পরবর্তীতে প্রতি ফিশিং বোট থেকে দেড়, দুলাখ করে নগদ অর্থ নিয়ে নিয়ে ছেড়ে দিলে ও তা প্রকাশ কিংবা মামলা করলে ভবিষ্যতে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে জলদস্যুরা।বাশঁখালীর ফিশিং বোট ডাকাতি লুটপাটের সময় আনোয়ারা গহিরা এলাকার তিনটি ফিশিং বোট ও ডাকাতের কবলে পড়ে বলে তারা জানান । বাশঁখালীর ফিশিং বোট ডাকাতি লুটপাটের ব্যাপারে বোট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন ভুট্টু বলেন বঙ্গোপসাগরে আমরা বার বার নি:স্ব ও সর্বস্ব হারালো ও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না ।সাগরে ডাকাতি হলে কোথাও মামলা ও করা যায় না । প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর ব্যাবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আমরা সাগরে যেতে পারবনা।বঙ্গোপসাগরে শেখেরখীল এলাকার ৪টি ফিশিংবোট ডাকাতির খবর পেয়েছেন বলে জানান শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন ।বঙ্গোপসাগরে ফিশিং বোট ডাকাতি ওলুট পাটের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাশঁখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাহ উদ্দিন বলেন এ ব্যাপারে কেউ আমাদের অবহিত করেনি । তারপরে ও খবর নিয়ে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেব ,তবে বঙ্গোপসাগর আমাদের আওতায় না থাকায় জোরালো কিছু করতে পারেনি । একুশে মিডিয়া
No comments:
Post a Comment