একুশে মিডিয়া ডেক্স:
হঠাৎ মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু নিখোঁজের একদিন পরেই ঢাকার আশুলিয়ায় পাওয়া যায় মেয়ের লাশ। লাশ দেখতেও তার মতো। তাই বাবা-মা আদরের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে ভেবে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করে ঢাকা থেকে ওই লাশ বাড়িতে এনে দাফন করে।
হত্যা করা হয়েছে ভেবে যাকে দাফন করা হয়েছে সেই মেয়েই সোমবার (২ জুলাই) দুপুরের দিকে তার স্বামী (প্রেমিক) আজিজ মৃধার নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। অবাক হচ্ছেন, অবাকতো হওয়ারি কথা!
এতক্ষণ বলছিলাম শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের কালাইমাঝি কান্দি গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী বাদল মাঝির মেয়ে ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাবাসছুমের কথা। ২১ জুন তাবাসছুম নিখোঁজ হয়েছিল। গত ২৪ জুন তাবাসসুমের লাশ ভেবে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থেকে উদ্ধারকৃত এক অজ্ঞাত কিশোরীর লাশ এনে দাফন করে তার পরিবার।
পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মাদবর ও অন্যান্যরা সুকৌশলে ঢাকা থেকে তাদেরকে (তাবাসছুম ও তার স্বামী) বাড়ি নিয়ে আসেন। এদিকে মেয়ের মরদেহ ভেবে দাফনকৃত অজ্ঞাত ওই কিশোরীর লাশের পরিচয় নিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে তোলপাড়।
তাবাসুমের মা নিলুফার বেগম বলেন, যে তারিখে তাবাসছুম নিখোঁজ হয়েছিল তার একদিন পরেই আশুলিয়ায় ওই মেয়ের লাশ পাওয়া যায়। লাশ দেখতেও তাবাসছুমের মতো ছিল। তাই আমরা ভেবে ছিলাম তাবাসছুমকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করে ঢাকা থেকে ওই লাশ বাড়িতে এনে দাফন করেছি। মেয়ের মৃত্যুর কথা শুনে কে ঠিক থাকে বলেন? তাছাড়া তাবাসছুম বেঁচে আছে ওই কথাটাও তখন আমাদেরকে জানানো হয়নি।
তাবাসছুম জানায়, নানা বাড়ি থেকে পালিয়ে তার প্রেমিক আজিজের সঙ্গে সে বান্দরবন ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানকার একটি মসজিদের সামনে তাদের বিয়ে হয়। পরে লাশের ঘটনা জানতে পেরে তারা বান্দরবন থেকে ঢাকা হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ওসি মঞ্জুরুল হক বলেন, আমরা শুনেছি তাবাসছুমকে পাওয়া গেছে। সে চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদে আছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।
No comments:
Post a Comment