ছবি: প্রতীকী
একুশে মিডিয়া, বগুড়া ১৬ জুলাই ২০১৮ ইং রিপোর্ট:
মাদক বিরোধী অভিযানে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করায় স্বস্তি ফিরেছে মোকামতলা এলাকার গ্রাম গুলোতে। ইতোমধ্যেই মাদকের কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত প্রায় এ এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকের প্রকাশ্য ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। পুলিশের মাদক বিরোধী এমন কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এই এলাকার সচেতন মহল।
বিশেষ করে গত ৭ জুলাই মোকামতলা ইউনিয়নের চকরামচন্দ্র পুর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ, ইউসুফ আলী ও মাদক সেবী জাহিদুলকে গাজাসহ হাতে নাতে আটক করায় ঐ এলাকার অন্য মাদক সেবীরা প্রকাশ্যে মাদক সেবণ থেকে বিরত রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছে, পুলিশের হাতে আটক ইউসুফ ও ফরিদ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা মাঝে মধ্যেই এই এলাকার বাবলা তলা এলাকায় মাদক আড্ডায় মেতে উঠতো।
অপরদিকে মাদক ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী ও জাহিদুলকে গ্রেফতারের পর তাদের স্ত্রী ছনিয়া বেগম ও তহমিনা বেগম পুলিশের এ কাজকে বেআইনী ও তাদের স্বামী নিরপরাধ মর্মে মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেদ্রের এস আই রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ১০ জুলাই জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। যা গত ১৪ জুলাই একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধার কারী এস আই রেজাউল করিমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এই এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবীদের আটক করেছি। যাদের সকলেই মাদক ব্যবসায়ী হিসেবেই চেনে। কিন্তু কিছু সংখ্যক মাদক কারবারীদের পৃষ্ঠপোষক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বানোয়াট অভিযোগ এনে আমার ক্যারিয়ারে কালো দাগ ফেলাতে চেষ্টা করছে।
আমি কখনই নিরাপরাধ মানুষকে মাদক সেবী বানিয়ে কোর্টে চালান দেয়নি। যা এলাকায় খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। তিনি আরও বলেন মাননীয় পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা এই এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালাচ্ছি। কোন ষড়যন্ত্র করে মাদকসেবীরা পার পাবেনা।
এ বিষয়ে মোকামতলা পুলিশ তদন্তকেদ্রের পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, আটক ঐ তিন মাদক সেবীকে সুনির্দিষ্ট তথ্যর ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিন্তু একটি পক্ষ আসামীদের স্ত্রীদের দিয়ে বিভিন্ন মহলে যে অভিযোগ করেছেন তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment