একুশে মিডিয়া, সিলেট রিপোর্ট:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সিলেট নগরের বন্দরবাজারের দুর্গা কুমার সরকারি পাঠশালা কেন্দ্রে ভোট দিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেন- আমি নৌকায় ভোট দিয়েছি। নৌকা এবার পাস করবে। সরকার সিলেটে বিপুল উন্নয়ন করেছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওই কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
এসময় তার ছোটভাই জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেনও ভোট দেন।
ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন- ভোট ভালোই হচ্ছে। কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী অভিযোগ করেছেন তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বিএনপির কোনও লোক নেই। তারা এজেন্ট দিতে লোক পায়নি। এখন উল্টা বলছে- এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে। এটা মিথ্যাচার।
এছাড়া কাউন্সিলর পদে বাকেরকে (আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী) ভোট দিয়েছেন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন- ‘বাকের খুব ভালো ছেলে। নারী কাউন্সিলর পদে এবার দিবারাণী বাবলিকে ভোট দেইনি। সে একজন সন্ত্রাসী।’
অবশ্য ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে ভোট দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন- ‘দিবারাণীকে ভোট দিয়েছি। সে আমার এলাকার মেয়ে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন- ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে আমি নির্বাচন না করলে, দল মনোনয়ন দিলে আমার ছোটভাই মোমেন নির্বাচন করবে।’
মন্ত্রী আজ দুপুরেই হেলিকপ্টার করে সিলেট ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। এর আগে সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে সকালে হেলিকপ্টারযোগে সিলেটে আসেন অর্থমন্ত্রী। পরে রিকশাযোগে ভোট কেন্দ্রে যান তিনি।
অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই এ কে আবদুল মোমেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি। আজ দুই ভাই একসঙ্গে গিয়ে ভোট দেন।
সকাল আটটা থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে ছয়জন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত নয়টি ওয়ার্ডে ৬২ জন এবং ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে মেয়র পদে নির্বাচন হওয়ায় প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment