নোয়াখালী-২ আসনে এগিয়ে বিএনপি-একুশে মিডিয়া

ছবি : প্রতীকী

একুশে মিডিয়া, নোয়াখালী রিপোর্ট:

আগামী জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। চার লক্ষাধিক ভোটারের এ আসনটি বিএনপির দূর্গ হিসেবে পরিচিত।

২০১৪ সালে এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোরশেদ আলম এমপি নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে হাই কমান্ডে লবিং শুরু করেছেন।

বর্তমান এমপি মোরশেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভুইয়া মানিক, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল আহমেদ এফসিএ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ জাফর আহম্মদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক মাঠ পর্যায়ে গণসংযোগ, কর্মী সমাবেশ, উঠোন বৈঠকসহ ব্যানার-ফেস্টুনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

বসে নেই বিএনপিও। দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থেকেও মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক বিরোধী দলীয় চীপ হুইফ জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।

এছাড়াও, জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন সেনবাগ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা হাসান মঞ্জুর। ১৯৭৩-এর পর দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ এ আসন না পাওয়ায় এলাকাটি মূলত আওয়ামী বিরোধীদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়। মোরশেদ আলম সাংগঠনিকভাবে দলকে কিছুটা গুছিয়ে নিয়েছেন।

অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তরুণ আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক দলীয় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সেনবাগে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন পেতে তিনি নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন। সেনবাগ-সোনাইমুড়ি আসনে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।

আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বাংলদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ড.জামাল আহমেদ এফসিএ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দুই বার নৌকা প্রতীক নিয়ে এ আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এলাকায় এসে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে উঠোন বৈঠক, মতবিনিময় ও গণ-সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আলহাজ্ব জাফর আহম্মদ চৌধুরী বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। যদি দল মনোনয়ন না দেয়, সে ক্ষেত্রে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, তিনি তার পক্ষে কাজ করবেন।

এদিকে, এ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাঁচবারের নির্বাচিত সাবেক এমপি জয়নুল আবদিন ফারুক ব্যাপক তৎপর রয়েছেন। নিজেদের দূর্গ টিকিয়ে রাখতে জয়নুল আবদিন ফারুকসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা মরিয়া হয়ে মাঠে কাজ করছেন।

আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে জয়নুল আবদিন ফারুক দলীয় মনোনয়ন পেলে এখানকার নির্বাচনী মাঠ আবারো বিএনপির দখলে চলে যাবে বলে মনে করেন স্থানীয় অনেকে। একুশে মিডিয়া।”