ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, দিনাজপুর রিপোর্ট:
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা দুর্নীতিতে জড়িত অভিযোগে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় কোল মাইনিং কোম্পানির চার কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তারা হলেন- কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মদ, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুর-উজ-জামান চৌধুরী, কোম্পানি সচিব মো. আবুল কাশেম প্রধানীয়া ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর বিভাগ) এ কে এম খালেদুল ইসলাম।
ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এক লাখ ১৬ হাজার টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠায় দুদক তাদের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এদিকে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনির কোল ইয়ার্ড থেকে কয়লা ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ার ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও বাংলাদেশ তৈল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশনে (পেট্রোবাংলা) অভিযান চালিয়েছে দুদক। কয়লা দুর্নীতি বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে গতকাল সকালে দুদকের অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা পিডিবি প্রধান কার্যালয়ে এবং দুপুরে কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলা কার্যালয়ে যান। দুটি সংস্থার কাছেই দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নথিপত্র চেয়েছেন তারা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব নথিপত্র সরবরাহ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন এ ঘটনায় একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করে। একই সঙ্গে এই টিমকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। একই দিন বিকালে দুদক চেয়ারম্যানের নির্দেশে দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে দুদকের অপর একটি বিশেষ টিম বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে অভিযান চালায়। তারা সেখানে গিয়ে কয়লা দুর্নীতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ উদ্ধার করে।
দুদক বলছে, গণমাধ্যমে ১ লাখ ১৬ হাজার টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার খবরে তোলপাড় শুরু হয়। পরে দুদক এই দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য দুদকের পক্ষ থেকে একটি কমিঠি গঠন করা হয়। দুদকের পরিচালক মো শামসুল আলমকে প্রধান করে সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন এবং সহকারী পরিচালক এ এস এম তাজুল ইসলামকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান কমিঠি করা হয়।
কমিঠির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নথিপত্র পর্যালোচনা করে কয়লা দুর্নীতির সতত্য পায়। এর পরেই কমিঠির প্রধান মো শামসুল আলম ওই চার কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment