বিলুপ্ত এক সভ্যতার বিস্ময়কর ইতিহাস!-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 8 August 2018

বিলুপ্ত এক সভ্যতার বিস্ময়কর ইতিহাস!-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, ভিন্ন দেশের ভিন্ন রিপোর্ট:
প্রাচীন মেসোপটেমিয়াকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল অ্যাসিরীয় সভ্যতা। ১৩৬৫-১০৭৬ খ্রিষ্টপূর্বের অ্যাসিরীয়ান সাম্রাজ্য এবং ৯১১-৬০৫ খ্রিষ্টপূর্বের নব্য-অ্যাসিরিয়ান সাম্রাজ্যের আবাসভূমি ছিল এই অঞ্চল। পুরো মধ্য এশিয়াকে শাসন করার অভিপ্রায় লুকায়িত ছিল এই সাম্রাজ্যের ভেতর।
বর্তমান ইরাক, তুরস্ক এবং সিরিয়াকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল মেসোপটেমিয়া। অ্যাসিরীয়দের অবশ্য রাজত্ব, ভাগাভাগি করে নিয়েছিল ব্যাবিলনীয়দের সাথে। ব্যাবিলনিয়াতে যখন রাজ্য চালাত পুরোহিতরা, অ্যাসিরীয়া তখন চলতো রাজা আর সেনাপতিদের মাধ্যমে। ফলে অ্যাসিরীয়রা কিছুদিনের মধ্যেই বেশ বড় একটা সামরিক পরাশক্তি হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পায় এবং নিজেদের সাম্রাজ্যও বড় করে তোলে।
নিনেভা আর আরবেলের উর্বর জমির মধ্যে অ্যাসিরীয়দের জনসংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছিল, বিশেষ করে আরবেল, আসুর আর নিমরুদ শহর লোকজনের পদভারে ছিল মুখরিত। আক্কাদীয় ভাষাভাষী অ্যাসিরীয়রা পৃথিবীর প্রথম সভ্যতাগুলোর একটি যারা নিজেদের গল্পগুলো পার্চমেন্ট, প্যাপিরাস আর পাথরে খোদাই করে লিখে গিয়েছে।
জন্তু-জানোয়ার সংরক্ষণেও অ্যাসিরীয়দের অগ্রগণ্য ভূমিকা ছিল। অ্যাসিরীয় রাজা টিগলাথ-পিলেজারের পৃষ্ঠপোষকতায় বেশ কিছু চিড়িয়াখানাও গড়ে উঠেছিল অ্যাসিরিয়ায়। ব্রোঞ্জ আর লোহার অস্ত্রের সাহায্যে সহজেই হিট্টাইটদেরকে নিহরিয়ার যুদ্ধে পরাজিত করে অ্যাসিরীয়রা। অ্যাসিরীয়দের নিয়ম ছিল দখল করা জায়গা থেকে স্থানীয়দের বিতাড়িত করা, যেন পরে কোনো বিদ্রোহের সূচনা না হয়।
শুধুমাত্র বিজ্ঞানী-পণ্ডিত কিংবা যারা অ্যাসিরীয়দের কাজে লাগতে পারে এরকম ব্যক্তিবর্গ ছাড়া সবাইকেই অন্যত্র পাঠিয়ে দিত অ্যাসিরীয়রা। কম করে হলেও ৪ কোটি লোককে তাই নিজেদের বাসভূমি ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমাতে হয়েছে অ্যাসিরীয়দের এই নীতির কারণে। অ্যাসিরীয়দের অন্যতম অর্জনগুলোর মধ্যে একটি হলো শিক্ষাব্যবস্থা, ৩৫০ সালে, প্রতিষ্ঠিত ‘স্কুল অব নিসিবিস’কে পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিবেচনা করেন অনেক ইতিহাসবিদ।
১,৮০০ বছর ধরে মেসোপটেমিয়া শাসন করা অ্যাসিরীয়রা গড়ে তুলেছিল বিশাল সব নগরী, শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নগরীর চারপাশে পুরু দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছিল, বিশেষ করে রাজধানীর চারপাশের দেয়ালই ছিল ১৫ মিটার পুরু! অ্যাসিরীয়দের পতন কীভাবে ঘটেছিল তা এখনো একটা রহস্য। তবে ধারণা করা হয়, বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের সাথে চলতে থাকা যুদ্ধ তাদের ক্রমেই দুর্বল করে তুলেছিল। মেসোপটেমিয়ায় অ্যাসিরিয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটলে, প্রাচীন পারস্য সাম্রাজ্য তা দখল করে নেয়।
খ্রিষ্টপূর্ব ৭ শতকের শুরুর দিকে এই এলাকা, পারসিয়ান সাম্রাজ্যের ইরানিয়ান মিডিরা এবং পরবর্তি ইরানের রাজ্য সাম্রাজ্যের অধীনে থাকে। খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতকে, বিস্তৃত রোমান সাম্রাজ্য পুরো পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল দখল করে যার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের অনেকাংশই ছিল। বলকান থেকে ইউফ্রেটিস সাম্রাজ্য পর্যন্ত শাসন করেছিল এই পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য যা এখন বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য নামে পরিচিত।
এরা ক্রমবর্ধমানভাবে পরিচিতি পেয়েছিল এবং খ্রিষ্টধর্মের প্রতি অন্ধবিশ্বাসী ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে অনেক জায়গাতে তাদের খ্রিষ্টধর্ম মতবাদ প্রতিষ্ঠার হুকুম এবং বিশ্বাসীদের মধ্যে ধর্মীয় ফাটল ধরায়।৩য় থেকে ৭ম খ্রিষ্টাব্দে পুরো মধ্য প্রাচ্য শাসন করেছে বাইজেন্টাইন ও পারস্যের সাসনীয়রা। এরপর ৭ম শতাব্দী থেকে মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামের মাধ্যমে নতুন শক্তি জেগে উঠে। সূত্র: হিস্টোরিইয়ুথ ডটনেট। একুশে মিডিয়া।”

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages