একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:
৩’শ কোটি টাকা আদায়ের টার্গেট নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগ বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এক্ষেত্রে সরকারি,বেসরসারি ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৪৮টি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে গৃহকর আদায়ের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে নুন্যতম ২’শ কোটি টাকা। পাশাপাশি এস্টেট শাখার প্রস্তাবিত ২১টি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ খাতে আয়ের টার্গেট নির্ধারন করা হয়েছে ১’শ ২০ কোটি টাকা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে নগরবাসী সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছেন। নাগরিকদের সহযোগিতা ও করপ্রদানের কারণে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ত্বরান্বত হচ্ছে। কর প্রদান করলে উন্নত,সুন্দর,সবুজ নগরী বিনির্মাণ সম্ভব। ৩ বছর পূর্বে চট্টগ্রাম নগরকে আজকের চট্টগ্রামের সাথে মেলালে চট্টগ্রামের উন্নতির এ চিত্র সাধারনের চোখে ধরা পড়বে। তিনি উন্নয়নের স্বার্থে নগরবাসী কর প্রদানে এগিয়ে এলে চট্টগ্রাম নগরী আরো এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর নাগরিক সেবা ও উন্নয়ণ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। তাই নাগরিক সেবার স্বার্থে নগরবাসী যদি তাদের বকেয়া কর সমূহ প্রদানে এগিয়ে আসেন তাহলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম আরো এগিয়ে যাবে। আর যার সুফল নগরবাসীই ভোগ করবে। তিনি বলেন রাজস্ব আয় বাড়াতে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আজ বিকালে আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কক্ষে চসিক রাজস্ব বিভাগ আয়োজিত বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন।
ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান ২০১৮-১৯ সনের কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সর্বোচ্চ করদাতাদের সম্মাননা প্রদানে ্একটি কারণ রয়েছে। এ সম্মাননার কারণে নাগরিকরা আরো বেশি কর প্রদানে আগ্রহী হবেন। চসিক এর গত অর্থ বছরে কর আদায় হয়েছিল ৩৮ শতাংশ। অথচ একই অর্থ বছরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কর আদায় হয়েছে ৭০ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে ২০১৭-১৮ আর্থিক সনের সর্বোচ্চ করদাতাদের সম্মাননা প্রদান করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। সর্বোচ্চ করদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
সরকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর, জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোং লি. ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। বেসরকারী পর্যায়ে মেসার্স ওশান কন্টেইনার লি. একে খান গ্রুপ ও চিটাগং জুট ম্যানুফেকচারিং-কে সর্বোচ্চ করদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও বেসরকারী পর্যায়ে ৮টি সার্কেল থেকে ৮ প্রতিষ্ঠান বায়েজিদ বোস্তামী রোড নাসিরাবাদস্থ আফফি প্লাজা প্রপাটিজ লি., কালুরঘাট ভারি শিল্প এলাকার আজিম গ্রুপ, চাক্তায়ের মীর আহমদ সও, আলকরণ এলাকার মো. শফিউল্লাহ, ও আর নিজাম রোডের দি পেনিনসুলা চিটাগাং, সাগরিকা রোডের নুর জাহান গ্রুপ, আগ্রাবাদস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও দক্ষিণ পতেঙ্গার সামিট এলাইন্স পোর্ট লি.-কে সর্বোচ্চ করদাতা মনোনীত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ কর কর্মকর্তা, উপ-কর কর্মকর্তা, উপ-করকর্মকর্তা (অনুমতি পত্র পরির্শক), শ্রেষ্ঠ অনুমতিপত্র পরিদর্শক ও কর আদায়কারী,ক্রোকি কর্মকর্তাসহ ৪৮ জনকে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর জোবাইরা নার্গিস খান, নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, শফিউল আলম, সচিব আবুল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যুগ্ম জেলা জজ মিসেস জাহানারা ফেরদৌস ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিসেস আফিয়া আখতার। অন্যদের মধ্যে কর কর্মকর্তা মো. শাহ আলম, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, একেএম সালাউদ্দিন, জানে আলম বক্তব্য রাখেন। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment