পদ্মার ভাঙনে সড়ক বিলীন হয়ে যাচ্ছে, সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে শরীয়তপুরে-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 18 August 2018

পদ্মার ভাঙনে সড়ক বিলীন হয়ে যাচ্ছে, সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে শরীয়তপুরে-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, শরীয়তপুর রিপোর্ট:
শরীয়তপুর পদ্মার ভাঙনে শরীয়তপুরের নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়ক বিলীন হয়ে সড়ক যোগাযোগসহ সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।।”।
এছাড়া সুরেশ্বর ভায়া নড়িয়া-ঢাকা সড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। গেলো তিন দিনে প্রায় কয়েকশ’ পাকা ঘর-বাড়ি, মসজিদ-মাদরাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্রিজ-কালভার্ট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
পদ্মা পারের মানুষ ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। মারাত্মক ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে নড়িয়া বাজার, নড়িয়া পৌরসভা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা খাদ্য গুদাম, উপজেলা পরিষদ, পৌরভবনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। তাই সারা দেশে ঈদের আনন্দ থাকলেও ভাঙনকবলিতদের মধ্যে নেই উৎসবের আমেজ। তারা দিনরাত ঘরবাড়ি সরানোর কাজেই ব্যস্ত।।”।
নড়িয়া বাঁশতলা এলাকার নজরুল ইসলাম শেখ, আব্দুর রহিম সিকদার একুশে মিডিয়াকে জানান, গত তিন দিনে নড়িয়া উপজেলার বাঁশতলা, শুভগ্রাম, মুলফৎগঞ্জ, সাধুর বাজার, ওয়াপদা চণ্ডিপুর, শেহের আলী, মাদবর কান্দি, ঈশ্বরকাঠি, পাঁচগাঁওসহ প্রায় চার কিলোমিটার এলাকার পাঁচ শতাধিক পাকা ঘর-বাড়ি, মসজিদ, মাদরাসা, বিভিন্ন স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্রিজ-কালভার্ট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।।”।
শনিবার দুপুরে নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়কের বাঁশতলা থেকে মুলফৎগঞ্জ এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার সড়ক পদ্মার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।  অন্তত আরও ২০-২৫টি স্থানে সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়ক ও সুরেশ্বর ভায়া নড়িয়া-ঢাকা সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাস্তা ভেঙে পদ্মার স্রোত রাস্তার দক্ষিণ পাশে ঢুকে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সড়ক যোগাযোগ না থাকায় একদিকে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক ধস নেমেছে। অপর দিকে ভাঙনকবলিত মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।।”।
সরকারিভাবে নামমাত্র সহায়তা প্রদান করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। ভাঙনকবলিত এলাকায় অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অনেকে তাদের ঘর দরজাটুকু সরিয়ে নেওয়ার সুযোগও পাচ্ছেন না। মুহূর্তেই তলিয়ে যাচ্ছে বসতভিটা। তাদের সহায়তার জন্য সরকারি-বেসরকারি কোনও সংস্থা বা জনপ্রতিনিধি সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেনি।।”।
ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা গেছে। এভাবে পদ্মার ভাঙন অব্যাহত থাকলে নড়িয়া বাজার, নড়িয়া পৌরসভা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা খাদ্য গুদাম, মুলফৎগঞ্জ বাজার, নড়িয়া উপজেলা পরিষদ ভবন, নড়িয়া সরকারি কলেজ, মুলফৎগঞ্জ মাদরাসা, নড়িয়া বাজারসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে এসব স্থাপনা। সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ কোটি টাকার জিওব্যাগ ফেলেও নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।।”।
মুলফৎগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আল আমিন মৃধা বলেন, এক মাস ধরে পদ্মা নদীর ভাঙনে প্রায় তিন হাজার ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। নড়িয়া-সুরেস্বর পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমাদের বাজারে তেমন ক্রেতা-বিক্রেতা নেই।।”।
বাঁশতলা এলাকার আবুল কালাম বলেন, সামনে কুরবানি ঈদ। আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় ঈদ করব, কোথায় নামাজ পড়ব, কী করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন একুশে মিডিয়াকে বলেন, গতকাল শুক্রবার নড়িয়া সুরেশ্বর সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছিল। পরে আজ শনিবার দুপুরে ওই সড়কের একটি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কিছু লোকজনের মধ্যে সহায়তা প্রদান করেছি।।”।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম একুশে মিডিয়াকে বলেন, পাঁচ কোটি টাকার জিও ব্যাগ ফেলেও কোনও সুফল হয়নি। বর্ষা মৌসুমে কাজ করে ভাঙন কমানো সম্ভব। তবে তা রোধ করা সম্ভব নয়। একুশে মিডিয়া।”।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages