কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুসলিম নারীদের চটিয়ে দিতে রাজ্যসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনের শেষদিনে তিন তালাক বিল পাসের কৌশল নিলো মোদি সরকার। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিন তালাক বিল আটকেই রইলো। আর শুক্রবার এতে বাধা দেয়ার জন্য সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে দায়ী করলো মোদি সরকার। খবর আনন্দবাজারের।”
সুপ্রিম কোর্ট তাৎক্ষণিক তিন তালাক নিষিদ্ধ করার পরে তাকে আইনি অপরাধের তকমা দিতে বিল আনে মোদি সরকার। লোকসভায় বিল পাস হয়ে গেলেও রাজ্যসভায় কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলের আপত্তিতে বিল আটকে রয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এই স্পর্শকাতর বিলটি নিয়ে আগে সিলেক্ট কমিটিতে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।”
সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য ইঙ্গিত মিলেছে, তিন তালাক বিল পাস না হওয়ায় এবার সরকার অধ্যাদেশ বা জরুরি কারণে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করে তিন তালাককে আইনি অপরাধের তকমা দিতে পারে। যদিও গত বছরের শেষ থেকে বিল আটকে থাকলেও মোদি সরকার এতদিন এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অধ্যাদেশ জারি করে আইন চালুর রাস্তাতেও হাঁটেনি। হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভায় তিন তালাকের অপরাধে জামিনের ব্যবস্থা করে বিলে সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়।”
এরপরই শুক্রবার রাজ্যসভায় বিল পাস করতে উদ্যোগী হয় সরকার। কিন্তু কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে অন্যান্য দলের নেতারা প্রশ্ন তোলেন, কেন অধিবেশনের শেষদিনে তাড়াহুড়ো করে এই বিলে আলোচনা হবে? অধিকাংশ দলেরই আপত্তি রয়েছে উল্লেখ করে আলোচনা স্থগিত করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু।”
বিজেপি সরকারের কৌশল অবশ্য তৈরিই ছিল। সূত্রের খবর সকালে অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, মুখতার আব্বাস নাকভিরা এ বিষয়ে বৈঠকও করেন। বিল পাশ না হওয়ার জন্য সংসদীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার রাহুল গান্ধীকে লক্ষ্য করে বলেন, কংগ্রেস সভাপতিই এর জন্য দায়ী। অকারণে এই বিল আটকানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সোনিয়া গান্ধীকে রবিশঙ্কর প্রসাদ অনুরোধ করেছিলেন, নারী হিসেবে তিনি যেন এই বিল পাস করাতে উদ্যোগী হন। শুক্রবার একই সুরে অনন্ত কুমার বলেন, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী মুসলিম মা-বোনেদের কথা ভাবেন না। শুধু কুমিরের মতো মায়াকান্না করেন।”
সোনিয়া গান্ধীকে সংসদে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের দলের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলব না। কংগ্রেসের প্রশ্ন ছিল, কেন বৈবাহিক সম্পর্কে আইনি অপরাধ টেনে আনা হবে? কেন তিন তালাকের অপরাধে জামিনের ব্যবস্থা থাকবে না? সরকার নতুন করে জামিনের ব্যবস্থা করলেও এই বিল নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছে কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়ও।। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment