একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে স্ত্রীর হাতে খুন হয়েছে প্রবাসী স্বামী আবুল হাসেম (৪০)।
শনিবার (১১ আগস্ট) বিকালে পুলিশ আবুল হাসেমের লাশ উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী রুনা আকতার (২৮) ও শ্বাশুরী আমেনা বেগম (৪৫) সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হওয়া অপর একজন হলেন, স্ত্রীর চাচাতো ভাই জাহেদুল ইসলাম (৩২)। পুলিশের ধারণা শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় এ হত্যাকাণ্ডে সংগঠিত হয়েছে।
নিহত আবুল হাসেম হলদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের এয়াছিন নগর গ্রামের অলিমিয়া কারিগরের বাড়ির আলী আহমেদের পুত্র বলে জানায় পুলিশ। পুলিশের ধারণা স্বামী আবুল হাসেমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্ত্রী রুনা আকতার।”
পরকীয়ার জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। নিহতের বড়পুত্র মো.মাহিম (১০) বলেন, গত ৭দিন আগে আমার মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া হয়। ওইদিন আমার বাবা ধারালো বটি নিয়ে মাকে কুপানোর চেষ্টা করেন এবং হত্যা করে জেলে যাওয়ার কথাও বলেন।”
সর্বশেষ শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে আমরা মায়ের সাথে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোররাতে আমার বাবা মারা গেছে বলে মা কান্নাকাটি করলে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি বাবার লাশ খাটের মধ্যে পড়ে আছে। আমার মা আমার নানুকে ফোন করতে বলেন। পরে আমি ফোন করি।”
নিহতের ভাই আবুল কাশেম বলেন, আমার ভাই মারা যাওয়ার পর লাশ গোসল দেয়ার জন্য বের করলে গলায় দাগ দেখে স্থানীয়রা সন্দেহ করে। পরে মেম্বারকে ফোন করলে মেম্বার থানায় খবর দেয়।”
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।”
গত ১৩ বছর আগে নিহত আবুল হাশেমের সঙ্গে ফটিকছড়ি উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামের ছগির আহমেদের মেয়ে রুনা আকতার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
স্বামী প্রবাসে থাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিহতের চাচাতো ভাই ও ফজল বারির পুত্র জাহেদের সঙ্গে পরকীয়া ছিল। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম।”
রাউজান থানার এসআই সাইমুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের পক্রিয়া চলছে।”
প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি একটি হত্যাকান্ড। নিহত আবুল হাশেমের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। পরকীয়ার কারণে হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী, স্ত্রীর প্রেমিক ও নিহতের চাচাতো ভাই জাহেদ ও নিহতের শ্বাশুরীকে থানায় আনা হয়েছে।। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment