![]() |
শুক্রবার(৩ আগস্ট ২০১৮) সন্ধ্যায় থেকে পরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে মালিকরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আগামীকাল সকালে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিন সকাল থেকে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সংখ্যায় কম হলেও সারাদিনই ঝিনাইদহ, ফরিদপুর, বরিশাল ও চুয়াডাঙ্গা রুটে গড়াই ও রূপসাসহ কিছু যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল করেছে।
কুষ্টিয়া জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবলু জানান, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমিকদের অনীহা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকাগামী ও দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সন্ধ্যার পর থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী আগামীকাল কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে, সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনালে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, বাস মালিকরা রাস্তায় গাড়ি চালানো নিরাপদ মনে করছেন না বলে আজ গাড়ি চালাননি। মালিক বা শ্রমিকদের কোনও ধর্মঘট চলছে না।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসচালকের রেষারেষির ফলে একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন।
এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঘটনার দিন থেকেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছে। আন্দোলনের সময় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে বেশ কিছু যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment