শেষবারের মতো বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’রা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।।”।
ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক, আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষণ কিরিয়েল্লা, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার। বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়েছেন পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধিও।।”।
শুক্রবার সকালে নয়াদিল্লির ৬এ কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাসভবন থেকে অটলবিহারী বাজপেয়ীর দেহ পৌঁছায় দিল্লিতে বিজেপির নবনির্মিত সদরদপ্তরে। সেখানে তার গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এরপরই সাধারণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য খুলে দেয়া হয় দরজা।।”।
সেখান থেকে শুরু হয় শেষযাত্রা। উদ্দেশ্য দিল্লির স্মৃতিস্থল। হাজারও মানুষের সঙ্গে অটলবিহারীর শেষযাত্রায় পায়ে হেঁটে শ্মশানে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন লাখ লাখ মানুষ। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টার যাত্রার পর শুক্রবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে যমুনার পাড়ে রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থল শ্মশানে পৌঁছায় ভারতরত্ন বাজপেয়ীর দেহ।।”।
হাজারও মানুষের সঙ্গে বাজপেয়ীর শেষযাত্রায় পায়ে হেঁটে শ্মশানে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
এদিকে অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে সাতদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যও ছুটি ঘোষণা করেছে। পূর্ণদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। শুক্রবার রাজ্যের সব সরকারি স্কুল, কলেজ, সরকারি দপ্তরে ছুটি ঘোষণা করেছে বিহার সরকারও। ।”।
এছাড়া দেশের সব সরকারি দপ্তরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ছিল। অন্যদিকে এদিন ভারতে মার্কিন দূতাবাসে অর্ধনমিত ছিল সে দেশের জাতীয় পতাকা। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment