একুশে মিডিয়া, ষ্টাফ রিপোর্টার:
সরকার শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দমন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, যদি আওয়ামী লীগ আন্দোলনরত এ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে তাহলে জনগণ ও অভিভাবকরা তাদের ক্ষমা করবে না, এর পরিণাম শুভ হবে না। ভোটার বিহীন সরকারকে শুধু জনগণই নয়, শিশু থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথী পর্যন্ত সকল স্তরের শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে না।
শনিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন তাদেরকে নির্যাতনে বেঁধে রাখার শিকলকে চিনতে পেরেছে, অকাল মৃত্যুর দানবকে চিহ্নিত করতে পেরেছে বলেই তারা আজ নির্যাতনকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবিচল, অকম্প, উদ্বেল আন্দোলনের মহাস্রোত বইয়ে দিতে পেরেছে। দুর্নীতির দুষ্ট চক্রে গোটা দেশকে বন্দী করেছে সরকার। অদক্ষ ড্রাইভার, ত্রুটির্পূণ গাড়ি, বেহাল সড়ক, ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, ত্রুটিপূর্ণ গাড়িকে ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান, এই সমস্ত অনাচারের জন্য দায়ী সরকার, বিশেষভাবে দায়ী সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পরিবহন নেতা নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। আর এই অব্যবস্থাপনার কারণেই পরিবহন সেক্টরে অরাজকতা চলছে। আর এজন্য কিশোর-কিশোরীদের সজীব প্রাণগুলি প্রতিনিয়ত বাসের চাপায় পিষ্ট হচ্ছে।
মন্ত্রীদের নির্দেশে আজকেও দেশব্যাপী গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এই গণপরিবহন বন্ধ করেনি। মূলত: পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্যকারীদের হুকুমেই পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকের আন্দোলনে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে অবস্থান করছে। সরকার সুদীর্ঘ বাহু বিস্তৃত করে শিশু-কিশোরদের আন্দোলনকে দমানোর এক মহাপ্রস্তুতি গ্রহণ করে চলেছে। তারপরও ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন বেগবান। অত্যাচারী খড়গকৃপানকে ধুলোয় লুটিয়ে তারা বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছে। শিশু-কিশোরদের এই অনবদ্য ভূমিকা ইতিহাসে এক সোনালী অধ্যায় হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment