![]() |
একুশে মিডিয়া, গাজীপুর রিপোর্ট:
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন বেপরোয়া গাড়িচালকের মতো আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এবং ফখরুল বেপরোয়া গাড়িচালকের মতো বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। তারা গত নয় বছরে নয় মিনিটের আন্দোলনও করতে পারেনি।’
শুক্রবার (১০ আগস্ট) বিকালে গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও চালকদের গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার অভিযান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনে বিএনপি সুবিধা নিতে চেয়েছিল এমন অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘তারা কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে ব্যর্থ হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের ওপর ভর করে ব্যর্থ হয়েছে। নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের ওপর ভর করেও সফলতার মুখ দেখেনি। তাই আন্দোলনে হতাশ বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঙা করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে।’
শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলন প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সড়কে সাত দিন ছিল, আর আমি সাত বছর ধরে আছি। তবে যতটুকু সাফল্য আসা দরকার ছিল সেই সাফল্য থেকে এখনও আমরা অনেক দূরে রয়েছি। এখনও গাড়ি চেকিং করতে যাই, সেখানে হয় গাড়ির ফিটনেস নেই, কারও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো পরিবর্তন করতে আরও সময় লাগবে। মালিক শ্রমিকদের, পুলিশের এবং বিআরটিএ এর নিরবিচ্ছিন্ন সমন্বিত প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এই মুহূর্তে একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি, সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা সারাদেশে বিআরটিএ এর অফিস লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন করবে।।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এতদিন যারা আলস্যে দিন কাটিয়েছে তাদের মধ্যে সচেতনতা, সতর্কতা ফিরে এসেছে। নবায়ন, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না সেটা বুঝে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘অনিয়মের মধ্য দিয়ে সড়ক পরিবহনের শৃঙ্খলা বিনষ্টে যা ক্ষতি হয়েছে এই ক্ষতি অব্যাহত থাকলে সড়কের ক্ষতি, পরিবহনের ক্ষতি, দেশ ও জনগণের ক্ষতি।।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিআরটিএতে লাইসেন্স গ্রহণ ও লাইসেন্স নবায়নসহ বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিআরটিএ এর সেবা গ্রহণের সুবিধার্থে টাকা জমা দেয়ার দুর্ভোগ লাঘবের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।। একুশে মিডিয়া।”
No comments:
Post a Comment