একুশে মিডিয়া, আন্তর্জাতিক রিপোর্ট:
আগামী ২০২২ সালে দেশের পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট ফাইভজি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের সঙ্গে দৌঁড়ে শামিল হতে এরইমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করছে দেশটি।
এশিয়ার এই দেশগুলো আগামী দুই বছরের মধ্যেই ফাইভজি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
ভারতের টেলিযোগাযোগ সচিব অরুণা সুন্দারাজন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০২২ সালে ভারতে ফাইভজি চালু করার পরিকল্পনা আছে। তবে এটা নির্ভর করছে চাহিদার ওপর, এজন্য টেলিকম শিল্পকেও নড়েচড়ে বসতে হবে।
ফাইভজি চালু হলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ভারত পরিকল্পনায় নতুন গতি আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার আগামী মেয়াদে নির্বাচিত হলে যেখানে ২০২০ সালের মধ্যে ফাইভজি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেখানে এই প্রযুক্তিতে ভারত থেকে এগিয়ে থাকছে বাংলাদেশ।
গত মাসে বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক ফাইভজির চালুর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের দেওয়া থ্রিজির কথা রেখেছে। আমরা বলেছিলাম দেশে থ্রিজি নিয়ে আসব। কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি বিষয়টি। কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি বাংলাদেশে ভ্রমণের সময় তারা মোবাইলে ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করবে বা ল্যাপটপে।’
‘ফাইভজি নিয়ে আমার লক্ষ্য হলো, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইভজি চালু করবে বাংলাদেশ। আমি চাই বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাক। যদি দেশের মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের আবারও ক্ষমতায় আনে তবে আমরা বাংলাদেশে ফাইভজি চালু করব’
সম্প্রতি শীতকালীন অলিম্পিকে ৫জি পরীক্ষা চালায় দক্ষিণ কোরিয়া। ২০১৯ সালের মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ৫জি চালু করতে চায় দেশটি। এই বছরের শেষ নাগাদ জাপান এবং ২০২০ সাল নাগাদ ৫জি চালু করতে চায় চীন। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment