বাইতুল্লাহ’র সঙ্গে বিশ্বাসী বান্দাগণের রয়েছে হৃদয়ের বন্ধন। এটা সেই ঘর যাকে আল্লাহ তাআলা বরকতময় করেছেন। যার দিকে ফিরে বিশ্বের বিশ্বাসী বান্দারা আল্লাহ তাআলার মহান হুকুম নামাজ আদায় করেন। যেখানে হজরত ইবরাহিম (আ.) এর স্মৃতি বিজড়িত ‘মাকামে ইবরাহিম’ রয়েছে।
যে স্থানকে আল্লাহ তাআলা নিরাপত্তার আদেশ দিয়েছেন। বাইতুল্লাহর অদূরেই রয়েছে সাফা-মারওয়া পাহাড়। এই পাহাড় দুটি এমন এক কালজয়ী নারীর পুণ্য-স্মৃতিকে ধারণ করে আছে যাকে নিয়ে অবশ্যই সকল যুগের, সকল স্থানের বিশ্বাসী নারীগণ গর্ববোধ করতে পারেন।
জনমানবহীন শূন্যপ্রান্তরে পিপাসার্ত শিশুর ছটফটে আল্লাহ তাআলার করুণার আশায় বুক বাঁধা এক বিশ্বাসী মায়ের অস্থির ছোটাছুটিতে যে অপার্থিব দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল তারই নির্বাক সাক্ষী এই সাফা-মারওয়া।
নারীদের জন্য বাইতুল্লাহর হজ জিহাদের মর্যাদা রাখে। উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আবেদন জানান। ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করাকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। কিন্তু নারী কি আল্লাহ তাআলার পথে জিহাদ করবে না? নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, না। তোমাদের জন্য উত্তম জিহাদ হলো হজ মাবরুর।’ (বুখারি শরিফ ১৫২০)
হজে মাবরুর কাকে বলে, হজ মাবরুর সেই হজকে বলে যেখানে হজের সকল নিয়ম-কানুন পালন করা হয় এবং হজে যেসব বিষয় নিষিদ্ধ তা থেকে পূর্ণরুপে বিরত থেকে সঠিকভাবে হজ আদায় করা হয়। হাদিস শরিফে আছে, হজে মাবরুরের অনেক বড় ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, জান্নাত ছাড়া হজে মাবরুরের আর কোন প্রতিদান নেই।’ (বুখারি শরিফ ১৭৭৩)
এ জন্য হজে যাওয়ার আগে হজের মাসায়েল ভালভাবে জেনে নেওয়া কর্তব্য। হজের ফরজ, ওয়াজিব এবং যে সব কারণে হজ নষ্ট হয়ে যায়, হজের সুন্নত, মুস্তাহাব বিষয়াদি সম্পর্কেও ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করা দরকার। কেননা আমরা যারা বাইতুল্লাহ থেকে অনেক দূরে থাকি তাদের পক্ষে জীবনে দ্বিতীয়বার হজ নসীব হবে কি না তা তো জানা নেই। তাই জীবনের শেষ হজ মনে করে প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। হজের মাসায়েল জানার পাশাপাশি হজের পূর্বে আরও যে বিষয়টির প্রয়োজন তা হলো, নিজের মন-মানসকে আল্লাহমুখী করা, আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের সংকল্প করা এবং বাহ্যিক জীবনে শরিয়তের হুকুম-আহ্কামের অনুগত হওয়ার চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতা থেকে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ পরিচ্ছন্নতা অর্জনও বাইতুল্লায় উপস্থিতির প্রস্তুতির মধ্যে পড়ে।
মহিলাদের প্রতি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো পর্দা। এই বিধান নারী জীবনের সকল ক্ষেত্রেই বিস্তৃত হয়েছে। যেমন, বিশ্বাসী নারীর ইবাদত-বন্দেগি, চালচল, কথাবার্তা সবকিছুতেই এই বিধানের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত। সামান্য লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, হজের অনেক বিধানেই নারী-পুরুষের মধ্যে এই পর্দার কারণেই তারতম্য হয়েছে।
যেমন, ইহরাম অবস্থায় পুরুষের জন্য সেলাইকৃত কাপড় পরা নিষেধ। কিন্তু মহিলাদের জন্য তা নিষেধ নয়। পুরুষ উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়বে, কিন্তু নারীরা পড়বে অনুচ্চস্বরে। বাইতুল্লাহর তাওয়াফের মধ্যে পুরুষের জন্য ‘ইযতিবা’ অর্থাৎ বাম কাঁধ খোলা রেখে চাদর পড়ার বিধান রয়েছে, কিন্তু নারীদের জন্য এটি নিষেধ। পুরুষের তাওয়াফে রমল প্রথম তিন চক্করে হাত ও কাঁধ দুলিয়ে বীরদর্পে হাঁটার বিধান রয়েছে, কিন্তু নারীর তাওয়াফে তা নেই। পুরুষের জন্য সাফা-মারওয়ায় নির্দিষ্ট স্থানে দৌড়ানোর বিধান রয়েছে, কিন্তু নারীর জন্য তা নেই, ইত্যাদি বিধানগত পার্থক্য তো এই মৌলিক বিধান পর্দার কারণেই হয়েছে। তাই হজের আগে, হজ পালনরত অবস্থায় এবং হজের পরে শরিয়তের এই বিধানের প্রতি আন্তরিকভাবে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। একুশে মিডিয়া।’
নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন
Tuesday 7 August 2018
জান্নাত ছাড়া হজে মাবরুরের আর কোনো প্রতিদান নেই-একুশে মিডিয়া
Tags
# ধর্ম ekusheymedia
Share This
About একুশে মিডিয়া বাংলা নিউজ পেপার
ধর্ম ekusheymedia
Labels:
ধর্ম ekusheymedia
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে
Author Details
The digital newsportal is aiming at engaging and involving more and more Bengali speaking people all over the world by publishing news using multimedia platforms. Beside written news, plenty of audio and visual contents are available in the portal to ensure entertainment at its best. Plenty of multimedia facilitated news are added here in a view to connecting more and more people and thus become a highly accessed news portal of the country ekusheymedia.com
No comments:
Post a Comment