দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর রবির বিরুদ্ধে ৮৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার ফাঁকি উদঘাটন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। এই অর্থ ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য রবির কাছে দাবিনামা পেশ করা হয়েছে।
বিটিআরসির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র একুশে মিডিয়াকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ওই সূত্র জানিয়েছে, ভ্যাট, ট্যাক্স, রেভিনিউ শেয়ারিং, হ্যান্ডসেট রয়্যালটি, স্পেকট্রাম চার্জ, লাইসেন্স ফিসহ মোট ৪০টি ক্যাটাগরিতে এই হিসাবের হদিস পাওয়া গেছে।
১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একটি অডিট হিসাবে এ তথ্য উঠে আসে। যেখানে বিটিআরসির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে মসিহ মুহিত হক অ্যান্ড কোম্পানি এবং ভারতীয় প্রতিষ্ঠান পিকেএফ শ্রীধর অ্যান্ড সান্থনাম এলএলপি। অডিটের জন্য দুই বছর আগে কোম্পানি দুটিকে নিয়োগ দেয়া হয়।
জানা গেছে, এই কাজের জন্য প্রতিষ্ঠান দুটি ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা পাচ্ছে। গত বছরের নভেম্বরে এই অডিটের কাজ সম্পন্ন হয়।
এরপর গত ৩১ জুলাই রবির কাছে দাবিনামা চিঠি পাঠায় বিটিআরসি। যেখানে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে দাবিনামা পরিশোধের কথা বলা হয়। এও বলা হয়, কোম্পানিটি বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে ১৫ শতাংশ হারে বিলম্ব ফি কার্যকর হবে।
বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, ৮৬৭ কোটি টাকার মধ্য ১৮৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা পাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর আর বিটিআরসিতে যাবে ৬৭৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
এ প্রসঙ্গে একুশে মিডিয়া’র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে রবির এক্সটারনাল কমিউনিকেশনের জেনারেল ম্যানেজার আশিকুর রহমান বলেন, এটা আসলে ফাঁকি নয়। রবি এই ত্রুটিপূর্ণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত সব পাওনা দাবিকে জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। সম্পূর্ণ যুক্তিহীন এই দাবির আইনগত কোনও ভিত্তি নেই।
‘সংশ্লিষ্ট টেলিযোগাযোগ আইন অনুসারে, নিরীক্ষার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী অপারেটর কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিনা এবং তারা সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী প্রদান করছে কিনা, এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার কথা। অথচ তথাকথিত এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা যাচাইয়ের দিকে মনোযোগ না দিয়ে রবি’র বিরুদ্ধে আর্থিক দাবি প্রতিষ্ঠায় বেশি মনযোগী ছিল।’
তিনি এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, পরীক্ষণের সময় প্রথা অনুসারে নিরীক্ষক কোম্পানি আমাদের মতামত না নেয়ায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। এ থেকে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, নিরীক্ষকের যাচাই প্রক্রিয়া ছিল সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ। আর তাই এই নিরীক্ষার মান নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক প্রশ্ন। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, এ প্রতিবেদনে আমাদের কার্যক্রমের সঠিক ও নিরপেক্ষ চিত্র ফুটে ওঠেনি।
তিনি বলেন, এই নিরীক্ষার আলোকে তৈরি দাবিনামার একটি বড় অংশ নিয়ে আদালতে বিরোধ চলছে। এক্ষেত্রে নিরীক্ষকরা বিভিন্ন সূত্র থেকে তাদের পর্যবেক্ষণকে যাচাই করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন এটাও প্রমাণ করে যে, নিরীক্ষক কোম্পানির টেলিকম ইকো-সিস্টেম এবং এ শিল্পের বিকাশের ইতিহাস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই।
‘তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আমাদের আবেদন, তারা যেন বিশ্বের নামকরা সবচেয়ে বড় যে চারটি নিরীক্ষক কোম্পানি রয়েছে, তাদের মধ্য থেকে কাউকে দিয়ে নিরীক্ষাটি পুনরায় পরিচালনা করেন।’
উল্লেখ্য, রবি অ্যাজিয়াটা আগে টেলিকম মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল (বাংলাদেশ) নামে পরিচিত ছিল। একটেল ব্র্যান্ড হিসেবে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে এর যাত্রা শুরু হয়। ২০১০ সালের ২৮ মার্চ এই সেবাটি ‘রবি’ ব্র্যান্ড হিসেবে অভিহিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি রবি অ্যাজিয়াটা লিমিটেড নামে পরিচিত হয়। একুশে মিডিয়া।”
নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন
Wednesday, 8 August 2018
রবির বিরুদ্ধে ৮৬৭ কোটি টাকা ‘ফাঁকি’ উদঘাটন-একুশে মিডিয়া
Tags
# অর্থনীতি ekusheymedia
Share This
About একুশে মিডিয়া বাংলা নিউজ পেপার
অর্থনীতি ekusheymedia
Labels:
অর্থনীতি ekusheymedia
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে
Author Details
The digital newsportal is aiming at engaging and involving more and more Bengali speaking people all over the world by publishing news using multimedia platforms. Beside written news, plenty of audio and visual contents are available in the portal to ensure entertainment at its best. Plenty of multimedia facilitated news are added here in a view to connecting more and more people and thus become a highly accessed news portal of the country ekusheymedia.com
No comments:
Post a Comment