একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
নিরাপদ সড়কের দাবিতে করা আন্দোলনে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের হওয়া পৃথক দুই মামলায় গ্রেফতার ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
৭ আগস্ট, মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ এই আদেশ দেন।
এর আগে ওই ২২ ছাত্রের মধ্যে বাড্ডা থানার পুলিশ ১৪ জনকে এবং ভাটারা থানার পুলিশ ৮ জনকে আদালতে হাজির করে প্রত্যকের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।
গ্রেফতারকৃতদের আইনজীবীদের দাবি, ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার পথে কয়েজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে।
বাড্ডা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুলহাস মিয়া রিমান্ড আবেদনে জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আফতাব নগর মেইন গেটের রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেয়। ওই সময় তারা লাঠিসোটা, ইটপাটকেল দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করে। বাধা দিলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে আসামিরা। এ ঘটনার ইন্ধনদাতা খুঁজে বের করতে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
আর ভাটারা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাসান মাসুদ রিমান্ড আবেদনে জানান, আসামিরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লোহার রড, লোহার পাইপ ও ইট দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। তারা বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসার দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। পলাতক আসামিরা জঙ্গিগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য। তাদের গ্রেফতার করার জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
অবশ্য পুলিশ নিরপরাধ ছাত্রছাত্রীদের ধরে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এ কে এম মুহিউদ্দিন ফারুক।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সোমবার সকাল থেকেই পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment