পূর্বদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ভুয়া ভিত্তিহীন,মিথ্যা বিজ্ঞাপন! |
এই বিজ্ঞাপনটা পড়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ।ভুয়া পরিচালক দাবী কারীদের কে কোন ব্যাংক কতৃক কোন প্রকার লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করা গেল।শিগ্রই কওমী মাদ্রাসা বোর্ড ও মাদ্রাসার মতোয়াল্লী ও প্রতিষ্টাতা পরিবার এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
""মাদ্রাসার বর্তমান মুহতামিম কে?মাদ্রাসার পুরা ইতিহাস নিম্মে দেওয়া হল""
দক্ষিণ চট্টগ্রামেরঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠা আল জামিয়া আল ইসলামিয়া জলদী মখজনুল উলুম (বাইঙ্গাপাড়া) বাঁশখালী বড় মাদ্রাসাটি আমার শ্রদ্বেয় দাদা বাঁশখালী পৌরসভা নিবাসী বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন পীরে কামেল মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সাহেব তার নিজের বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত ও ক্রয়কৃত এবং বাহারউল্লাহ পাড়া এলাকার অনেক মুরবিদের দানকৃত সর্বমোট সাড়ে ৩ কানি জমির উপর ১৯২৮ ইং সালে প্রতিষ্টা করে ১৯৪০ ইংরেজি পযর্ন্ত মাদ্রাসার পরিচালক/মোহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন।এরপর ১৯৪১ থেকে ১৯৪৪ সাল পযর্ন্ত মরহুম মাওলানা সাইফুল হক সাহেব মাদ্রাসার পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।১৯৪৫ সালের শেষের পুনরায় মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা ও মতোয়াল্লী মরহুম মাওলানা মোহাম্মাদ আলী ১৯৬৮ সাল পযর্ন্ত দীর্ঘ একটানা ২৬ বছর দায়িত্ব পালন কালে বৃদ্ধা অবস্হায় উক্ত মাদ্রাসার মতোয়াল্লীরর দায়িত্ব প্রদান করেন বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস) তৎকালিন চেয়ারম্যান আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক যুগ শ্রেষ্ট আলেমেদ্বীন
মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা হাজ্বী ইউনুছ (রাহঃ)কে রেজিষ্টি করিয়া মতোয়াল্লী নিযুক্ত করেন। তৎমতে দায়িত্ব প্রাপ্ত মতোয়াল্লী হাজ্বী ইউনুছ (রাঃহ:) হুজুরের বিএস খতিয়ান নং ২৫৩৩ ও অপর বিএস ৩২৫৭ নং এ সর্বমোট ৩ কানি ৫ গন্ডা জমির বিএস হয়।১৯৬৯ সালে মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেব হুজুর মরহুম মাওলানা খাইর উদ্দীন সাহেবকে পরিচালকের দায়িত্ব দেন।তিনি ১৯৮০ সাল পযর্ন্ত মোহতামিম দায়িত্ব পালন করে। মরহুম মাওলানা খাইর উদ্দীন সাহেব স্বীয় বাধ্যর্কজনিত অপরাগতার কথা মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেব কতৃক জানালে মতোয়াল্লী ১৯৮১ সালে ১৯৮৩ সাল পর্যস্ত মরহুম মাওলানা নছরত আলী সাহেবকে দায়িত্ব দেন।পরবর্তীতে তার অপরাগতায় ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত মাওলানা নুরুল হক সুজিত সাহেব মোহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন।১৯৮৬ সালের দিকে মতোয়াল্লী হাজ্বী ইউনুছ সাহেব হুজুর (৭) নং পরিচালক হিসেবে মাদ্রাসটির দায়িত্ব দেন আমার ফুফা হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান সাহেবকে। তিনি ১৯৮৯ সালে মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেবকে মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব না দেওয়ায় এবং বিভিন্ন অভিযোগের কারনে মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুস সোবহান সাহেবকে অনিয়মের কারন দর্শাতে তৎকালিন কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আন্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের প্যাডে নোটিশ প্রেরন করে। তখন পরিচালক উক্ত নোটিশের কোন জবাব না দেওয়ায় এবং একক সিদ্ধান্তে মাদ্রাসা পরিচালনা একচেটিয়া কতৃর্ত্ব প্রতিষ্টা করার কারনে নোটিশে স্পর্ট ভাষায় লিখা আছে মাদ্রাসাটি আমি আমার পরবর্তী কালে মাদ্রাসার প্রতিষ্টার পুত্র আমার শ্রদ্বেয় আব্বাজান মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা আবু তাহের সাহেবকে জলদী মাদ্রাসার মতোয়াল্লী নিযুক্ত করেন।
পরবর্তীতে মতোয়াল্লী হাজ্বী সাহেব হুজুর মারা যাওয়ার পূর্বে লিখিতভাবে স্টাম্পে মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতার ৩য় পুত্র আমার শ্রদ্বাবাজন আব্বাজান লন্ডন মসজিদুল আবরার জামে মসজিদের খতিব, আল জামিয়াতুল আরবিয়া মদিনাতুল উলুম রাউজান দেওয়ানপুর মাদ্রাসার সাবেক মোহতামিম, সিএমবি আল মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া তানজিমুল উম্মাহ মাদ্রাসাসহ অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসার মোহতামিম মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা আবু তাহের সাহেব কে জলদী মখজনুল উলুম (বাইঙ্গাপাড়া) বাঁশখালী বড় মাদ্রাসার মতোয়াল্লী নিযুক্ত করেন।
১৯৮৬ সাল থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান সুন্দর ভাবে মাদ্রাসটি করে ২০১১ সালের দিকে এলাকাবাসীর বিভিন্ন অভিযোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, কওমী মাদ্রাসা বোর্ড এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে অত্র বাহারউল্লাহ পাড়া এলাকার গন্যমান্য সমাজ প্রতিনিধি সহ ৩/৪ শ জন লোক বাস যোগে হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক ও কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব হুজুরের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ পেশ করলে তিনি ২০১১ সালের ২০ ফ্রেরুয়ারী জলদী বাইঙ্গাপাড়া মাদ্রাসায় এক জরুরী বৈঠক ও মজলিশে শুরার আহবান করে।উক্ত শুরায় ৪/৫ শ লোকের উপস্থিতে বাঁশখালীর সকল মাদ্রাসার পরিচালকগন, শুরু সদস্য,বাঁশখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র , সাবেক মেয়র, কাউন্সিলর,বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সকলের উপস্থিতে উক্ত বৈঠকে রেজুলেশন হয়।রেজুলেশনে মাদ্রাসার পরিচালক মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান বলেন,দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাংকে মজুদ থাকা নিজের নামে বেনামে যে সমস্ত টাকা আছে সব গুলো টাকা মাদ্রাসার এই কথাটি তিনি সকলের সামনে কসম করে বলেন এবং মাদ্রাসার নামে নাল জমি ১২ খানি,পাহাড় ১২ খানি রয়েছে বলে তিনি জানান। পরবর্তীতে মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালক মাওলানা আব্দুস সোবহানের লিখিত দস্তখতের মাধ্যমে কওমী মাদ্রাসা বোর্ড চেয়ারম্যান ও হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক আল্লাম শাহ আহমদ শফী সাহেব (মাঃজিঃ) কে পরিচালকদের দায়িত্ব অর্পন করেন। পরবর্তীতে তিনি মাদ্রাসার হিসাব পত্র বুঝিয়ে না দিয়ে বিদেশ চলে যান।২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারী মাদ্রাসার হোস্টেলের খাবার বন্ধ হয়ে গেলে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল করলে তৎকালিন ইউএনও, ওসি ও মেয়র সকলে মাদ্রাসা পরিদর্শন করে এবং তারা বিষয়টি কওমী মাদ্রাসা বোর্ড কে অবিহিত করে। পরবর্তীতে কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের প্রধানের কাছে থাকা পরিচালকের দায়িত্বটা সেগুনবাগান তালীমুল কুরআন মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ তৈয়ব সাহেবকে পরিচালক নিযুক্ত করে (১)। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি, মেয়র সকলে আবারো পুনরায় বৈঠক বসে হাফেজ তৈয়ব কে দায়িত্ব বুঝিয়ে।
পরবর্তীতে নতুন পরিচালক হাফেজ তৈয়ুবকে রাতের আধারে মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।এরপর আমি নিজে বাদী হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বরাবরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন, পরে পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তৎকালিন সাতকানিয়া সার্কেল ও বর্তমান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) ইমরান ভূইয়াকে দায়িত্ব দেন। তিনি বিষয়টা তদন্ত করে সেখানে ও হাফেজ তৈয়ব সাহেবকে নতুন পরিচালক বলে প্রতিবেদন দেন। তিনিই বৈধ মুহতামিম। সর্বশেষ গত ১২.০৭.২০১৮ ইং তারিখ জলদী মাদ্রাসার অফিস কক্ষে মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিবার ও দাতা পরিবাব ও মাদ্রাসার মতোয়াল্লী সহ এবং কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফির নির্দেশে সকলের লিখিত দস্তখতের মধ্যমে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি (১) প্রতিষ্টাতা পরিবারের পুত্র মাওলানা হাসান সাহেব (২) বাঁশখালী কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের পক্ষ থেকে পীরে কামেল চাম্বল দারুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা শাহ আব্দুল জলিল (৩) মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান সাহেবের পুত্র মাওলানা আব্দুর রহমান ও মাওলানা ইলিয়াছ (সাবেক মোহতামিম মাওলানা আব্দুস সোবহানের ভাই) কে মাদ্রাসার সকল প্রকার হিসাব নিকাশ আগামী ৬ মাসের মধ্যে মাদ্রাসা ফান্ডে বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য দায়িত্ব প্রধান করে। সাবেক মুহতামিমেরর পুত্র আব্দুর রহমান কে পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করে। বিশেষ বিঃ দ্রঃ- মাদ্রাসার যে সমস্ত একাউন্টে কোটি কোটি টাকা রয়েছে সে সমস্ত টাকা পয়সা মাদ্রাসার ফান্ডে ফেরত ও সাবেক মোহতামিম মাওলানা আব্দুস সোবহানের নামে বেনামে প্রমস্ত প্রকার একাউন্ট মাদ্রাসার ফান্ডে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হল।পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পযর্ন্ত সমস্ত ধরনের লেনদেন বন্ধ রাখার জন্য বলা হল।অন্যতাই আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হইবে। একুশে মিডিয়া।’
বিনীত নিবেদক কওমী মাদ্রাসা বোর্ড, মাদ্রাসার পরিচালক ও মাদ্রাসার মতোয়াল্লী ও দাতা সদস্য পরিবার এবং স্থানীয় এলাকাবাসী।
No comments:
Post a Comment