![]() |
একুশে মিডিয়া, আন্তর্জাতিক রিপোর্ট:
‘নিষিদ্ধ পল্লী’ হিসেবে কলকাতার সোনাগাছির রয়েছে বেশ সুনাম। এ যৌনপল্লি নিয়ে ১৮৮০ সালে ‘অজ্ঞাতনামা’ লেখকের হাতে রচিত হয় নাটক ‘বেশ্যালীলা’। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলায় অনেক সাহিত্যই লেখা হয়েছে সোনাগাছির প্রেক্ষাপটে।
সোনাগাছিতে বসবাসরত শিশুদের নিয়ে জানা ব্রিস্কি ও রফ কফমান তৈরি করেন ডকুমেন্টারি ‘বর্ন ইনটু ব্রথেলস: ক্যালকাটাস রেড লাইট কিডস’। ফিল্মটি ২০০৪ সালে সেরা ডকুমেন্টারি হিসেবে অস্কার জেতে।
সোনাগাছির যৌনকর্মীদের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশ ও নেপালের নারীরা। তবে প্রশ্ন কেমন আছে তারা? কি করতে হয় তাদের?
এমনই কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো আজকের প্রতিবেদনে:
১. ভারতের বৃহত্তম ‘নিষিদ্ধ পল্লী’ সোনাগাছি। এখানে প্রায় ১০ হাজার যৌনকর্মী বাস করেন। যৌনকর্মীদের একটা বড় অংশ আসেন নেপাল আর বাংলাদেশ থেকে।
২. কিংবদন্তি অনুসারে, এককালে এই এলাকার মালিক ছিলেন সানাউল্লাহ বা সোনা গাজি নামে এক মুসলমান ধর্মগুরু। সেই গাজির মাজার এখনও এই এলাকায় রয়েছে।
৩. সোনাগাছিতে যৌনকর্মীদের কাছে আগত ‘খদ্দের’রা যাতে কনডম ব্যবহার করেন তা সুনিশ্চিত করার জন্য ১৯৯২ সালে ‘সোনাগাছি প্রোজেক্ট’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করা হয়।
৪. ‘সোনাগাছি প্রোজেক্ট’ এর অংশ হিসেবে ১৯৯২ সালে দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি নামে একটি সংগঠন গড়ে ওঠে যৌনকর্মীদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্য নিয়ে। বর্তমানে এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার।
৫. বাঙালি যৌনকর্মীদের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে সোনাগাছিতে। নেপালি, রাজস্থানি আর ‘আগ্রাওয়ালি’দের আধিক্য এখন এখানে।
৬. সোনাগাছিতে এক রাত্রের জন্য ৩০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে খদ্দেরদের। পারিশ্রমিকের এত বৈচিত্র্য ভারতের আর কোনও ‘নিষিদ্ধ পল্লি’তে বিরল।
৭. সোনাগাছিতে কর্মরত যৌনকর্মীরা সকলেই যে অভাবের তাড়নায় বা অবস্থার চাপে পড়ে এই পেশায় নামতে বাধ্য হন, তা নয়। অনেকেই স্বেচ্ছায় আসেন এই পেশায়। এখানে যৌনকর্মীরা বেশিরভাগই পরিচিত হন ছদ্মনামে। একুশে মিডিয়া”
No comments:
Post a Comment