ফুটবল কন্যা শামসুন্নাহার প্রায়ই খেলার সময় অজ্ঞান হয়ে পরে যেত!-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday, 10 August 2018

ফুটবল কন্যা শামসুন্নাহার প্রায়ই খেলার সময় অজ্ঞান হয়ে পরে যেত!-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, বিশেষ ক্রীড়া রিপোর্ট:
ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল দলের অন্যতম তারকা শামসুন্নাহার। ৯ আগস্ট অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ ফুটবলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪ গোল করে বাংলাদেশের মেয়েরা। আর এটাই বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।।
সেই খেলায় ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার কলসিন্দুর ফুটবল কন্যা শামসুন্নাহার জুনিয়র একাই ৪টি গোল করে। অথচ শামসুন্নাহার জুনিয়র’র ফুটবল খেলা খাবারের অভাবে অপুষ্টিজনিত কারণে ২০১৬ সালে খেলা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে হয়ে পরে। প্রায়ই খেলার সময় অজ্ঞান হয়ে পরে যেত। কম করে হলেও ১০ থেকে ১২ বার অজ্ঞান অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসত। আমি বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ দিয়েছি।।
তৎকালীন ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ওয়ায়েজ উদ্দিন জানান, কলসিন্দুরের ফুটবল কন্যারা দেশের জন্য বার বার জয় ছিনিয়ে আনছে। ওরা বিশ্বের বুকে দেশকে আরো উচু করে তুলবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।।
তিনি আরও বলেন, তারপর আমি কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক মালা রানী সরকারকে শামসুন্নাহারের অপুষ্টিজনিত কারণে বার বার অজ্ঞান হয়ে পড়ার বিষয়টি জানালে তিনি শামসুন্নাহারের দৈনিক খাবারের ব্যবস্থা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন।।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার কলসিন্দুর ফুটবল কন্যাদের মা নামে খ্যাত কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক মালা রানী সরকার। মালা রানী সরকার ২৩ বছর যাবৎ কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছেন। সাথে সাথে ফুটবল কন্যাদের সার্বিক সহায়তা করায় কলসিন্দুরবাসী তাকে ফুটবল কন্যাদের মা বলেই জানে।।
কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক মালা রানী সরকার জানান, জন্মের পরেই মা মারা যায় শামসুন্নাহারের(ছোট)। চার বোন এক ভাইয়ের সংসার চালান বাবা মিরাস উদ্দিন কৃষি কাজ করেন। অভাবের সংসারে খাবারের কারণে শামসুন্নাহার অপুষ্টি জনিত কারণে রোগে ভোগছিল। যে কারণে ডাক্তার ফুটবল খেলার জন্য আনফিট ঘোষণা করেন।।
পরে আমি প্রায় ৮ মাস স্থানীয় একটি হোটেলে শামসুন্নাহারের দৈনিক খাবারর ব্যবস্থা করে দেই ও আমার নিজস্ব অর্থায়নে ডাক্তার ওয়ায়েজ উদ্দিন সাহেবকে দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। সুস্থ হয়েই অনুর্ধ-১৫ দলে খেলার সুযোগ পেয়ে দেশের জন্য জয় ছিনিয়ে আনে।
তিনি আরও বলেন, আমি নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। প্রত্যেক নারী যেন তার অধিকার নিশ্চিত করতে পারে, তাই আমি প্রায় ৮ মাস স্থানীয় একটি হোটেলে শামসুন্নাহারের দৈনিক খাবারর ব্যবস্থা করেছিলাম ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছিলাম।।
এ ছাড়াও মারিয়া মান্দার নেতৃত্বে মাহমুদা, মার্জিয়া, শামসুন্নাহার (বড়), সাজেদা, শামসুন্নাহার (ছোট), নাজমা ও তহুরা সবাই খুব ভাল ফুটবল খেলে। গতবারের মত এবারও ওরা অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে বাংলাদেশের মেয়েরাই চ্যাম্পিয়ান হবে।
ময়মনসিংহ জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি একেএম দেলোয়ার হোসেন মুকুল জানান, ২০১১ সালে বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল দিয়ে খুলে যায় কলসিন্দুরের মারিয়াদের ভাগ্য। এরপর দাপটের সঙ্গেই খেলেছেন এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ ও এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মূল পর্বে। ওই সময় দলের ডেপুটি কাপ্তান ছিলেন এ খুদে ফুটবলার মারিয়া। তবে পাকিস্তানকে ১৪ গোল দিয়ে জেতায় আমি খুব আনন্দিত।।
টুর্নামেন্টে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, চ্যাম্পিয়নের মতোই দুর্দান্ত শুরু করেছে। নবীন পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের বড় জয়ে হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল করেছে শামসুন্নাহার জুনিয়র। তহুরা, সাজেদা ও আনাই করেছে ২টি করে গোল। মনিকা, মারিয়া, আঁখি, শামসুন্নাহার সিনিয়র করেছে ১টি করে। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ১৩ আগস্ট, প্রতিপক্ষ নেপাল।।
গোলদাতা : (তহুরা ৫ মিনিট, মনিকা ১৭ মি., তহুরা ১৯ মি., শামসুন্নাহার সিনিয়র ৩১ মি., মারিয়া ৪১ মি., আঁখি ৪২ মি., সাজেদা ৪৮ মি., শামসুন্নাহার জুনিয়র ৫০ মি., শামসুন্নাহার জু. ৫৪ মি., শামসুন্নাহার জু. ৫৭ মি., সাজেদা ৫৮ মি., আনাই মগিনি ৫৯ মি., আনাই মগিনি ৮৮ মি., শামসুন্নাহার জু. ৯০ মি.) একুশে মিডিয়া।।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages