একুশে মিডিয়া, গোপালগঞ্জ রিপোর্ট:
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় খাদ্য গুদাম থেকে সরকারি চাল কলো বাজারে বিক্রির সময় ২৬০ বস্তা ১৩ মেট্রিক টন চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) সকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পাটগাতী বাজার থেকে এ চাল আটক করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদাম থেকে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির ১৩ মেট্রিক টন চাল পাটাগাতী বাজারের ব্যবসায়ী কালু শেখ ও বিভাষ হাজরা কাছে কালো বাজারে বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীরা নছিমন ও ভ্যানে করে চাল পাটগাতী বাজারে নিয়ে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাকিব হাসান তরফদার সেখান থেকে এ চাল জব্দ করেন। উদ্ধারকৃত চাল থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
অভিযানের খবর পেয়ে টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রাশেদা খানম ও চাউলের কালো বাজারি কালু শেখ ও বিভাষ হাজরা গা ঢাকা দেন।
এ ব্যাপারে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মুঠো ফোনে জানান, এসব চাল কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির। জুন মাসেই এ চালের ডিও জমা দেন ওই ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তারা তখন গুদাম থেকে চাল সরবরাহ নেননি। বারবার চাল নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়। পরে আজ গুদাম থেকে চাল বাইরে ফেলে দেয়া হয়। ব্যবসায়ীরা এখান থেকে চাল নেয়ার সময় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে চাল জব্দ করিয়েছে। এটি কোন অবৈধ চাল নয়।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাকিব হাসান তরফদার বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে কালো বাজারে চাল বিক্রি করা হয়েছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে পাটগাতী বাজারে অভিযান চালিয়ে চাল জব্দ করা হয়েছে। চালগুলো থানায় রাখা হয়েছে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন আকন্দ বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে এ গুলো অবৈধ চাল। কাজের বিনিময়ের খাদ্য কর্মসূচির চাল জুনে বরাদ্দ শেষে হয়েছে। এ চালের কোন স্টক গুদামে রয়েছে বলে গুদাম কর্মকর্তা আমাকে অবহিত করেননি। যদি কোন ডিওর চাল গুদাম থেকে সরবরাহ করতে বাকি থাকে সেগুলো গুদামের প্যাসেজে রাখতে হয়। কিন্তু এ চালগুলো প্যাসেজ থেকে নয় গুদামের স্টক থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment