দুই ঘণ্টা সানশেডে লুকিয়ে ছিল তৃপ্তির ধর্ষক!-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 5 August 2018

দুই ঘণ্টা সানশেডে লুকিয়ে ছিল তৃপ্তির ধর্ষক!-একুশে মিডিয়া

n
একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
কাজের উদ্দেশে সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় তৃপ্তির মা রওশন আরা ও বাবা হাসান আলী। এ সময় ঘুমে ছিল সাগরিকা তৃপ্তি (১২)। সে রাজধানীর তেজগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকার তেজগাঁও বিজি প্রেস প্রাইমারি স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। শনিবার (৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও বেগুনবাড়ী এলাকায় রুবেলের বাড়ির দোতলার একটি কক্ষের মেঝে থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তৃপ্তির লাশ।
মেয়েকে না জাগিয়ে দরজা ভেজিয়ে বেরিয়ে যান তৃপ্তির বাবা-মা। তৃপ্তির ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে চাননি তারা। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও তারা ভাবতে পারেননি এ জন্য চিরঘুমের দেশে চলে যাবে তাদের সন্তান। পাষণ্ড ধর্ষকের আক্রোশে সেই অপ্রত্যাশিত, বেদনাদায়ক ঘটনাই ঘটেছে।
তৃপ্তির স্বজনদের অভিযোগ, তাদের পার্শবর্তী ঘরের মেস ভাড়াটিয়া আলম দাশ (২২) ধর্ষণের পর তৃপ্তিকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। এর পর দুই ঘণ্টা লুকিয়ে থাকে ওই ঘরেরই কার্নিশে। সকাল ৯টার দিকে নিহতের স্বজনরা ঘরের দরজা খুললে সবার চোখের সামনে দিয়েই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।
তার পালিয়ে যাওয়ার সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে হাতিরঝিল সংলগ্ন একটি বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। তাতে দেখা গেছে, গোলাপি রঙের টিশার্ট আর থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট পরিহিত আলম দাশ সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে তৃপ্তিদের বাড়ির গলি থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে হাতিরঝিলের দিপিকার মোড়ের দিকে।
ময়নাতদন্তের জন্য তৃপ্তির মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলম দাশের মেস পার্টনার ৫ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
তৃপ্তির বাবা হাসান আলী জানান, উত্তর বেগুনবাড়ী সিদ্দিক মাস্টার ঢালের ৪৭ নম্বর বাসার থাকতেন তারা। ঘটনার দিন সকালে পাশের ঘরের ভাড়াটিয়ারা তৃপ্তির ঘর থেকে ‘ও, মাগো’ একটি চিৎকার শোনেন। পরে সন্দেহ হলে তারা এসে তৃপ্তির বাসার সদর দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। ভেতরে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে খবর দেন হাসান আলীকে।
পরে বাড়ির লোকজনদের নিয়ে ভেনটিলেটার ভেঙে ভেতরে ঢুকে তারা দেখতে পান মেঝেতে বিবস্ত্র, অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে তৃপ্তি। এ সময় দরজায় তালা মেরে তৃপ্তিকে স্থানীয় শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ নিয়ে যায় থানায়। এদিকে দরজায় তালা পড়ায় তৃপ্তির কক্ষে আটকা পড়েন আলম।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টার কিছু পরে তৃপ্তির বড় বোন কুলসুম ও মুন্নিসহ অন্য নারীরা যখন দরজার তালা খুলে ভেতরে ঢোকেন, তখন আলম দাশ সানশেডের ওপর থেকে হুড়মুড়িয়ে লাফিয়ে পড়েন তাদের ওপর। মুন্নিসহ উপস্থিত নারীরা পড়ে গেলে দৌড়ে পালান আলম।
এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে শমরিতা হাসপাতাল থেকে তৃপ্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে মেয়েটিকে। জব্দকৃত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে রুম থেকে পালিয়ে যাওয়া এক যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
পরিবার জানায়, নিহত সাগরিকা বেগম তৃপ্তি দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট। একুশে মিডিয়া।’

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages