লাখ টাকা ব্যয়ে পরিচালক দাবী করে বিজ্ঞাপন: অর্থ লোভে ধ্বংসের পথে বাঁশখালী বাইঙ্গাপাড়া মাদরাসা-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 18 August 2018

লাখ টাকা ব্যয়ে পরিচালক দাবী করে বিজ্ঞাপন: অর্থ লোভে ধ্বংসের পথে বাঁশখালী বাইঙ্গাপাড়া মাদরাসা-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:
মাখজুনুল উলুম যার অর্থ হচ্ছে, জ্ঞানের ভান্ডার। আরবী ভাষার এই বাক্যটি জ্ঞানের গভীর থেকে গভীরতার বুঝানোর অর্থে ব্যবহার হয়। জ্ঞান গরিমার গভীরতার উপলদ্ধি ধারণ করে ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঁশখালীর উপজেলা সদরে আল জমিয়া আল ইসলামিয়া মাখজুনুল উলুম মাদরাসা।।”। দক্ষিণ চট্টগ্রামে এই মাদরাসাটি বাইঙ্গাপাড়া মাদরাসা নামেও ব্যাপক পরিচিত। মাদরাসাটির বর্তমান চিত্র এবং আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করে। মাদরাসাটির ইতিহাস এবং সফলতাও ব্যাপক আলোচনার দাবি রাখে। এক সময় এই মাদরাসাটির খ্যাতি ও সুনাম পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিস্তৃত ছিল। বছর পাঁচেক আগেও এই মাদরাসাটি ছাত্র শিক্ষকে ভরপুর ছিল।।”।
 সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর পদচারনায় যে প্রতিষ্ঠানটি ধর্মীয় শিক্ষার আলোকবর্তিকার অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছিল সে মাদরাসাটি এখন প্রায় নিভু নিভু। প্রতিষ্ঠানটির আলোর প্রদীপে নেমে এসেছে অন্ধকারের কালো চাদর। যে চাদরে ঢাকা পড়েছে মাদরাসার আলোর প্রদীপ।।”।


বিগত ১২ বছরের এক জঠিল সমীকরণে নিমজ্জিত মারপ্যাচে পড়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে মাদরাসাটির অর্জিত সুনাম ও খ্যাতি। দানা বেঁধেছে নানান জঠিল সমীকরণ।সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও দেশের আলেম সমাজ কঠোর ভুমিকা নিয়ে এগিয়ে না আসলে চিরতরে দাওরায়ে হাদিস তথা মাস্টার্সের সমমানের এই প্রাচীন প্রতিষ্ঠানটি ছাত্র ও শিক্ষকশূণ্য হয়ে পড়তে পারে  যেকোন সময় এবং মাদরাসার সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে অচিরেই কোন সমাধান না হলে চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে প্রতিষ্ঠানটি।।”।

সূত্রমতে, মাখজুনুল উলুম মাদরাসার আর্থিক  কেলেঙ্কারীর অভিযোগটি দীর্ঘদিনের। মাদরাসার মুহতামিম মরহুম মাওলানা আবদুস সোবহান মধ্যপ্রাচ্য থেকে কোটি কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহের কয়েক বছরের মধ্যেই মাদরাসায় আর্থিক কেলেঙ্কারীর বিষয়টি উঠে আসে। 
।”।

এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে  ২০১১ সালের ২০ ফ্রেরুয়ারী জলদী মাদরাসায় এক জরুরী বৈঠক ও মজলিশে শুরার আহবান করে।বিপুল সংখ্যক লোকের উপস্থিতি, বাঁশখালীর সকল মাদ্রাসার পরিচালকগন, শুরার সদস্য, বাঁশখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র ,সাবেক মেয়র, কাউন্সিলর,বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সকলের উপস্থিতে বৈঠকে তৎকালীন সময়ে একটি  রেজুলেশন হয়।।”।
Page%2B1.eps9999999999999999%2Bcopy%2B%25282%2529
চট্টগ্রামের স্থানীয় দৈনিক সাঙ্গুতে আজ এই মাদরাসার অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ প্রতিবেদন


রেজুলেশনে মাদরাসার পরিচালক মরহুম মাওলানা আব্দুস সোবহান স্বীকার করেছিলেন ,দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাংকে মজুদ থাকা নিজের নামে বেনামে যে সমস্ত টাকা আছে সব মাদরাসার।।”।

 পরবর্তীতে তিনি মাদরাসার হিসাব পত্র বুঝিয়ে না দিয়ে বিদেশ চলে যান। ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারী মাদরাসার হোস্টেলের খাবার বন্ধ হয়ে গেলে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল করলে তৎকালিন ইউএনও, ওসি ও মেয়র সকলে মাদ্রাসা পরিদর্শন করে এবং তারা বিষয়টি কওমী মাদ্রাসা বোর্ডকে অবিহিত করে। এভাবে নানান ঘটনা প্রবাহের মধ্যদিয়ে অবহেলার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়ে আসছে এবং মাদরাসার অর্থের ভাগাভাগি এবং পদ পদবী দখলের বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ঠেকেছে। ।”।

 
সূত্রমতে ১৯৮৮ সালে  মাখজুনুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম তথা পরিচালকের দায়িত্ব নেন ম্ওালানা আবদুস সোবহান। মাদরাসার মুহতামিমের পাশাপাশি তিনি হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষকও ছিলেন। মাওলানা আবদুস সুবহান মাদরাসার মুহতামিম থাকাকালে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মাদরাসার নামে কোটি কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করেন। ।”।

অভিযোগ রয়েছে , মাওলানা সোবহান মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনুদানের যে পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন, সেগুলো মাদরাসার একাউন্টে না রেখে নিজের ছেলে সন্তানের নামে একাউন্ট খোলে সেখানে জমা রাখতেন । এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাওলানা সোবহানের পরিবারের নামে প্রায় পঞ্চাশটিরও অধিক ব্যাংক একাউন্ট আছে। যেগুলোতে জমা আছে মাদরাসার কোটি কোটি টাকা। একেকটি একাউন্টে জমা আছে ছয়-সাত কোটি টাকার উর্ধ্বে।।”।

সূত্রমতে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে সংগৃহিত কোটি কোটি টাকাগুলো মাওলানা সোবহান মাদরাসার একাউন্টে জমা করতেন না। নামেমাত্র টাকা মাদরাসার একাউন্টে জমা রেখে বাকি টাকা নিজের  ছেলে ও মেয়ের একাউন্টে রাখতেন। সে ব্যাংক একাউন্ট সমূহে কি পরিমাণ টাকা জমা আছে সেটা মাওলানা সোবহানের পরিবার ছাড়া অন্যকেউ জানেনা।
।”।
 গতকাল সরেজমিন পরিদর্শনকালে মাদরাসার মজলিশে সূরার মাধ্যমে নিযুক্ত পরিচালক মাওলানা সোবহানের দ্বিতীয়পুত্র মাওলানা আবদুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, তাঁকে মাদরাসার শুরা কমিটি ৬ মাসের জন্য মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি মাদরাসার বৈধ পরিচালক। ।”।

মাদরাসার অনুদানের টাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বাবা জীবতকালে আমার দু বোনের একাউন্টে মাদরাসার নামে সংগৃহিত অনুদানের টাকা রেখে যান। সেই টাকা দিয়ে মাদরাসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়। মাদরাসার নামে এখনও বাহির থেকে যে টাকা আসে, সে টাকাও দুই বোনের একাউন্টে জমা হয়। ।”।

তিনি আরও জানান, গত দুই বছর আগে তাদের কাছে টাকার হিসাব চাইলে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দের সূচনা হয়। এমনকি তার বোন ও  বোনের স্বামী তাকে মাদরাসা থেকে বের করে দেয়ার পাঁয়তারা শুরু করে। এক পর্যায়ে মাওলানা আবদুর রহমান বলেন, তার বোন ব্যাংক একাউন্ট থেকে কয়েক কোটি টাকা উত্তোলন করে নামে বেনামে জমি ক্রয় করেছেন। ।”।

jal
মাদরাসার সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে মজলিশে সূরার বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন বাঁশখালীর চাম্বল মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবদুল জলিল

অভিযোগ রয়েছে , মাওলানা সোবহান মাদরাসার নামে অনুদানের টাকার বিস্তৃতি ছিল ব্যাপক। মাদরাসার নামে ব্যাংক একাউন্ট ছাড়াও নিজের ছেলে ও দুই মেয়ের নামে ব্যাংক একাউন্ট খোলে সেখানে মাদরাসার কোটি কোটি টাকা জমা করেন। সেই একাউন্টে কি পরিমাণ অর্থ জমা আছে সেটা ম্ওালানা সোবহান সাহেবের পরিবার ছাড়া অন্যকেউ জানেনা। 
।”।

মূলত বর্তমানে মাদরাসার অস্তিত্ব নিয়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে এবং বিগত কয়েক বছর ধরে মাদরাসায় যে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেটি মূলত মাওলানা সোবহানের এক মেয়ের ব্যাংক একাউন্টের টাকার হিসাব নিয়ে। ।”।

মুহতামিম দাবী করে চলছে লাখ টাকার বিজ্ঞাপন:
গত দুই সপ্তাহ ধরে মাদরাসার মুহতামিম দাবী করে দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ছাপানো হচ্ছে চটকদার বিজ্ঞাপন। মাওলানা সোবহানের মেয়ের স্বামী মাওলানা ইসহাক গত দুই সপ্তাহ ধরে নিজেকে মাদরাসার মুহতামিম দাবী করে পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছেন।
।”।

অন্যদিকে এই বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদ জানিয়ে মাওলানা সোবহানের পুত্র মাওলানা আবদুর রহমান নিজেকে মুহতামিম দাবী করে প্রতিবাদ বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে দেশবাসীকে জানান দিচ্ছেন। লক্ষ্য করা গেছে, এই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরী হয়েছে মাদরাসায়। মাদরাসার মুহতামিমের পদ এবং ব্যাংক একাউন্টের সংরক্ষিত অর্থের হিসাবকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে মাদরাসায়  যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে।।”।

দায়সারা বক্তব্য মাওলানা ইছহাকের: এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মাদরাসার মুহতামিম দাবিদার মাওলানা ইছহাক দায়সারা বক্তব্য দিয়ে ইতি টানার চেষ্টা করেন।  নিজেকে মুহতামিম দাবী করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি  জানান, আমাকে মাওলানা আবদুস সোবহান (ইছহাকের শশুর) জীবিত থাকা অবস্থায় মুহতামিমের দায়িত্ব দিয়ে গেছেন এবং বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান ও বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে লিখিতভাবে মুহতামিমের দায়িত্ব দেন। এ যুক্তিতে আমি মুহতামিম। 
।”।

গত ১৮ জুলাইয়ের শুরা কমিটি সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন , আমি এসব কিছু জানিনা। আমাকে কেউ অবগত করেনি। নিজের স্ত্রীর একাউন্টে মাদরাসার টাকা জমা রাখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই টাকা কি মাদরাসার নাকি আমার স্ত্রীর তা আমি জানিনা। তিনি আরও যোগ করেন, আমার স্ত্রীর একাউন্টে যে টাকা আছে সেগুলো মাদরাসার টাকা হতেও পারে নাও হতে পারে।  ।”।

jjjjjj
মাদরাসার মজলিশে শুরায় বিভিন্ন মাদরাসার আলেমদের উপস্থিতির একাংশ।”।

 মাওলানা ইছহাকের মতে, আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে যে শুরা কমিটি হয়েছে সে সর্ম্পকে তিনি কিছুই জানেনা। তবে মজলিশে শুরার মাধ্যমে মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মাওলানা সোবহানের পুত্র আবদুর রহমান জানান, কওমী মাদরাসা পরিচালনার ক্ষেত্রে শুরা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। শুরা কমিটির বাহিরে অন্যকেউ মুহতামিম বলে দাবি করলে  সেটা গ্রহণযোগ্য হবেনা।  ।”।

মজলিশে শুরার ভুমিকা:
মাখজুনুল উলুম মাদরাসা পরিচালনায় রয়েছে ১৭ বিশিষ্ট একটি মজলিশে সূরা। এই শুরার প্রধান হচ্ছেন হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আহমদ শফি। মাদরাসার আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এই শুরার সদস্যরা কয়েকটি বৈঠক করলেও কার্যত মাদরাসার সুষ্ঠ পরিচালনা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে পারেনি। এমনকি মাদরাসার অনুদানের টাকা কি পরিমাণ জমা আছে তার কোন হিসাবও বের করতে পারেনি শুরা কমিটি । ।”।

সর্বশেষ গত ১৮ জুলাই মাখজুনুল উলুম মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হয় মজলিশে শুরার বৈঠক। মজলিশে শুরার সদস্যরা সর্ব সম্মতিক্রমে ছয় মাসের জন্য মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্ব দেন মাওলানা সোবহানের পুত্র মাওলানা আবদুর রহমানকে । একই সাথে মাদরাসার নামে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে দেখাশুনা  , তদারকি এবং ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ রাখার ক্ষমতা প্রদান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করে দেয় শুরা কমিটি ।।”।
 মাখজুনুল উলুম মাদরাসার শুরা কমিটির সদস্য এবং বাঁশখালীর প্রভাবশালী আলেম মাওলানা আবদুল জলিল জানিয়েছেন, শুরা কমিটি আদৌ অবগত নয় মাদরাসার নামে কয়টা ব্যাংক একাউন্ট আছে এবং মাওলানা সোবহানের মেয়ের ব্যাংক একাউন্টে কি পরিমাণ টাকা আছে। বরেণ্য এই আলেমেদ্বীন জানান, মূলত আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে মাদরাসায় বিশৃঙ্খলা তৈরী হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি যতক্ষণ পরিস্কার না হবে , ততক্ষণ মাদরাসায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবেনা। তিনি আরও জানান, আমাদের দাবী হচ্ছে মাওলানা সোবহান সাহেবের মেয়ের একাউন্টে মাদরাসার যে পরিমাণ টাকা আছে , সেগুলো মাদরাসার একাউন্টে ফিরিয়ে এনে মাদরাসার কাজে ব্যয় করা হউক এবং স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা হোক।।”।

m
নিজেকে মাদরাসার মুহতামিম দাবী করে গত ৪ আগস্ট থেকে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছেন মাওলানা সোবহানের মেয়ের স্বামী মাওলানা ইছহক।।”।

মাদরাসার শুরা কমিটির আরও কয়েকজন সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা কেউ জানেনা মাদরাসার আর্থিক লেনদেনের হিসাব সর্ম্পকে। এমনকি মাওলানা সোবহানের মেয়ের একাউন্টে কি পরিমাণ মাদরাসার টাকা আছে সে সর্ম্পকেও তারা অবগত নয়। ।”।
 
মাখজনুল উলুম (বাইঙ্গাপাড়া)  মাদরাসার মতোয়াল্লী ও দাতা সদস্য  মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের বলেন, মাদ্রাসাটি আমার দাদা পৌরসভা নিবাসী বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ আলী তার নিজের বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত ও ক্রয়কৃত এবং বাহারউল্লাহ পাড়া এলাকার অনেক মুরব্বিদের দানকৃত সর্বমোট সাড়ে ৩ কানি ৫ গন্ডা জমির উপর ১৯২৮ ইং মাদ্রাসাটি প্রতিষ্টা করেন। বর্তমানে মাদরাসাটির অবস্থা খুবই খারাপ। সাবেক মোহতামিম মাওলানা আব্দুস  সোবহান বলেছিলেন, নিজের নামে বেনামে থাকা সব সম্পদ মাদ্রাসার। ওনার মৃত্যুর পর থেকে মাদ্রাসার সম্পদ লুটপাট হচ্ছে। তিনি  মাদরাসার যাবতীয় সম্পদ মাদরাসায় ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।।”।

সাধারণ জনগণের দাবী: মাখজুনুল উলুম মাদরাসার অর্থ কেলেঙ্কারীর সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে মাওলানা সোবহানের পরিবারকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। মাদরাসার প্রতিবেশিদের সাথে আলাপকালে তারা এ অভিমত দেন। এলাকাবাসীর মতে, মূলত মুহতামিমের পদ এবং মাওলানা সোবহানের মেয়ের একাউন্টে মাদরাসার টাকা লেনদেনের বিষয়ে মূল বিরোধ। 
।”।

এই সমস্যার সমাধান না হলে মাদরাসায় কখনো শৃঙ্খলা ফিরে আসবেনা।  মাওলানা সোবহানের দুই পুত্র, দুই মেয়ে ও মেয়ের স্বামীকে আইনের আ্ওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ এবং একাউন্টের হিসাব জব্দ করলেই অর্থ কেলেঙ্কারীর মূল রহস্য বের হবে। এলাকাবাসীর মতে, মূলত মাদরাসার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মাওলানা সোবহানের পরিবার পুরো মাদরাসাকে জিম্মি করে রেখেছেন এবং  মাদরাসাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। ।”।

এব্যাপারে বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী বলেন, মাদরাসাটি একটি দক্ষ কমিটির আওতায় না আনলে  সেখানে শৃঙ্খলা ফিরে আসবেনা। তাছাড়া মাওলানা সোবহানের মেয়ের ব্যাংক একাউন্টে মাদরাসার যে পরিমাণ টাকা জমা আছে তা উদ্ধারে শক্তভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। মেয়র বলেন, মাওলানা সোবহানের মেয়ে হাবিবার স্বামী হচ্ছে মাদরাসার মুহতামিম। যদিও মাওলানা সোবহানের পুত্র আবদুর রহমান তা অস্বীকার করেন। মেয়র বলেন, একটি দক্ষ কমিটি গঠন হলেই মাদরাসাটি পূর্বের শৃঙ্খলায় ফিরে আসবে।
।”।

mmmmmmmmmmmmmmm
মাওলানা ইছহাকের প্রচারিত বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদ জানিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের পাল্টা প্রতিবাদ।

 জলদী পৌরসভার স্থানীয় জনসাধারণের দাবী হচ্ছে মাখজুনুল উলুম মাদরাসা রক্ষা এবং সেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে  বেফাক এবং প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। মাদরাসায় ফিরিয়ে আনা হোক শিক্ষার সুষ্ট পরিবেশ। প্রয়োজনে মাদরাসার আর্থিক লেনদেন নিয়ে যারা জড়িত এবং মাদরাসাকে যারা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁদেরকে চিন্থিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।  একুশে মিডিয়া।”।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages