সাদুল্লাপুরের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার হাল-চাল দেখার কেউ আছেন কি? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামন-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, 16 September 2018

সাদুল্লাপুরের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার হাল-চাল দেখার কেউ আছেন কি? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামন-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার বেহাল দশা। তবে অনেক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যহারে কম ও শিক্ষকদের অনুপস্থিতি ক্লাস ফাঁকি'র বিষয়টি লক্ষ্যনীয়।।”।
শিক্ষকদের উপস্থিতি দেরীতে হলেও তাড়াতাড়ি গমন এবং অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাড়াতাড়ি ছুটি দেয়ার ফলে সেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ।”।

সচেতন এলাকাবাসী,অভিভাবক ও পর্যবেক্ষক মহল শিক্ষার মান উন্নতিকরনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কড়া নজরদারি কামনা করেছেন। ।”।
তবে, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের যথাসময়ে উপস্থিতি ও মনোযোগের সাথে পাঠদান, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিসহ শিক্ষার মান বেশ সন্তোষজনক ও প্রশংসার দাবীদার। ।”।
একাধিক সচেতন এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার  বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে নানা বিষয় পরিলক্ষিত হয়। ।”।
দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার ৮ নং ভাতগ্রাম ইউনিয়নের তরফ মহদী নব-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র বেশ চোখে পড়ার মতো। শিক্ষকগন যথা সময়ে বিদ্যালয়ে আসেন এবং মনোযোগের সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশ ভালো। মিজানুর রহমান সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক হিসেবে এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর আগের চেয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে এবং লেখা-পড়ার  মান বেশ সন্তোষজনক।।”। 
অপরদিকে, পাশ্ববর্তী ১১নং খোদ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের বুজরুক পাকুরিয়া নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়।।”।

এ বিদ্যালয় ৩ টার মধ্যেই ছুটি দেয়া হয়েছে এবং লেখা-পড়ার মান একেবারে নিম্ন পর্যায়ে। তাছাড়া শিক্ষকদের পাঠদানে অনিহা ও ক্লাস ফাঁকি'র বিষয় নিত্য নৈ-মত্তিক ব্যাপার বলে স্থানিয়রা জানান ।।”।
মোঃ আঃ খালেক ও মোছাঃ আরফিন আক্তার এ দু'জন সহঃ শিক্ষককে উপস্থিত পাওয়া যায়। তারা জানান, প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান বিদ্যালয়ে এসেই রংপুর চলে গ্যাছেন। তাছাড়া অপর সহঃ শিক্ষক মোশাররফ হোসেন দুপুর ২ টার সময় বিদ্যালয় থেকে চলে গ্যাছেন এবং  সহঃ শিক্ষক রফিকা বেগম আাজ বিদ্যালয়ে আসেননি,যা দুঃখজনক। প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে,তিনি রংপুর ব্যক্তিগত কাজে এসেছেন এবং সহঃ শিক্ষক রফিকা বেগম কোন ছুটি নেননি বলে জানান।।”।

এ বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান একেবারে নিম্ন পর্যায়ে এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষকগনের দেরীতে আগমন হলেও চতাড়াতাড়ি গমন এবং ২টা/৩টার মধ্যেই ছুটি দেয়া এ বিদ্যালয়ের নিত্য দিনের ঘটনা বলে অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। ।”।

শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে, যেসব শিক্ষকের বাড়ি সংলগ্ন বিদ্যালয় রয়েছে ঐ সব শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করলে শিক্ষার গুনগতমাণ বাড়বে বলে সচেতনমহল মনে করেন। এ ব্যাপারে ঐ মহলটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কড়া নজরদারিসহ জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। (চলবে)। একুশে মিডিয়া।”।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages