প্রতীকী ছবি। |
একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির দুই ছাত্রীর বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল আগামী শুক্র ওশনিবার (২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলাধীন বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের একটি কমিউনিটি সেন্টারে।
তারা দুই জনেই বাঁশখালীর চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।খবর পেয়ে বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোমেনা আক্তার ছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে দেবে নাবলে অঙ্গীকারনামা নিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।এদিকে, বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ রোধকল্পে বিয়ের ক্লাবের মালিক ও বিবাহ সম্পন্নকারী কাজীদের নিয়ে প্রশাসনিকভাবে বৈঠকের দাবি জানিয়েছেসচেতন মহল।
জানা যায়, বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার আমিনের মেয়ে চাম্বল উচ্চবিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী (১৪) ও মৌলভীবাজার এলাকার প্রবাসী ছেলের সাথে আগামী শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়। এবং চাম্বল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ফজল করিমের মেয়ে একই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (১২) সাথে পূর্ব চাম্বলের অন্য প্রবাসী যুবকের সাথে আগামী শনিবার বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়।এ বাল্যবিবাহ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের কাছে খবর চলে আসে।উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাখেরা শরীফ, সরল ইউনিয়নের আনছার ভিডিপি ওয়ার্ড দলনেতা নুর হোসেন গতকাল বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় দুই ছাত্রীর বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক শফিকুর রহমানের কার্যালয়ে উপস্থিত হন।ছাত্রীর অভিভাবকদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাদের ডেকে এনে অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করা হয়।ছাত্রীর অভিভাবক আমিন ও ফজল করিম তাদের দুই জনের দুই মেয়ের বয়স ১৮পূর্ণ না হওয়ার পূর্বে বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন।
বাঁশখালী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাখেরা শরীফ বলেন, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোমেনা আক্তারের নির্দেশনা পেয়ে গতকাল বুধবার চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির দুই ছাত্রীরঅভিভাবকের কাছ থেকে ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নিয়ে বাল্যবিবাহ দুটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment