একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
হোল্ডিং ট্রাক্স আদায়ের দায়িত্ব না দেওয়ায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ২ নং হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদের আদায়কৃত হোল্ডিং ট্রাক্স অবৈধ ঘোষনা করে প্রচারনাকারী পুলিশের হাতে আটককৃত হোসনে আরা বেগম চৌধুরী মুন্নি উপজেলা প্রশাসনের নিকট ক্ষমা চাওয়ায় অবশেষে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিলো পলাশবাড়ী থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিষদ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন স্থানে ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব আদায়কারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হোসনে আরা চৌধুরী মুন্নি অত্র ইউনিয়নে হোল্ডিং ট্রাক্স আদায়ের দায়িত্ব না দেওয়ায় পরিষদের হোল্ডিং ট্রাক্স প্রদান বন্ধে রাজস্ব আদায়কারী যানবাহন ও মাইক ব্যবহার করে প্রচারণা চালানোর সময়ঁ ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে হোসেনপুর ইউনিয়নের আকবর নগর গ্রাম হতে মুন্নিসহ তার এক সহযোগীকে আটক করে পুলিশ।এসময় প্রচারণায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও মাইক আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এসময় মুন্নি ও তার সহযোগীরা পুলিশের সাথে আপত্তিকর আচারণ করে।
থানা সুত্রে জানা যায় ,পলাশবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের মৌখিক অভিযোগের ভিক্তিতে অযৌক্তিক প্রচারপ্রচারনাকারী ও তার সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় । আটককৃতরা উপজেলা প্রশাসনের নিকট নিজেদের কর্মকান্ড ভুল হয়েছে মর্মে ক্ষমা প্রর্থনা কারায় উপজেলা প্রশাসন আটককৃতদের ক্ষমা করে। সেকারনে আটককৃতদের নিজ জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আটকৃতরা হলো অত্র ইউনিয়নের শালমার গ্রামের মৃত আব্দুল জোব্বার চৌধুরীর মেয়ে ও তার সহযোগী ও স্বামী মাজাহারুল ইসলাম । মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পাওয়া হোসনে আরা চৌধুরী মুন্নি বলেন কই আমাকে তো কেউ আটকিয়ে রাখতে পারলো না আর চেয়ারম্যান এখন হোল্ডিং ট্রাক্স আদায় করতে গেলে সাধারণ জনগণের হাতে গনধোলাই হবে ।
হোসেনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটু জানান হোল্ডিং ট্রাক্স বা রাজস্ব আদায়ে দায়িত্ব না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিষদের হোল্ডিং ট্রাক্স আদায় কাজে বাধা প্রদান করার পরে যদি উপজেলা প্রশাসন কাউকে ক্ষমা করে সেখানে পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে আমার কি করণীয় আছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল হোসনে জানান, ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং ট্রাক্স আদায় বৈধ। হোল্ডিং ট্রাক্স আদায়ে বিষয়ে অপপ্রচারকারী আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে ক্ষমা চাওয়ায় তাদরে ক্ষমা করা হয়েছে ।পরবর্তী একই ভুল করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment