একুশে মিডিয়া, এম এ হাসান কুমিল্লা:
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় প্রবাস পেরত দুলাল মিয়া জীবন জীবিকার নির্বাহে নিজ বসত বাড়ী উপজেলার ৯নং কনকাপৈত ইউনিয়নের জঙ্গলপুর গ্রামে স্বল্প পূঁজি নিয়ে শুরু করেন টার্কি খামার,একজন পরিশ্রমী সত উদ্দ্যেমি প্রকৃতির এই দুলাল মিয়া বর্তমানে আর্থিক সংকটে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েন।উপজেলার জঙ্গলপুর গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার দেওয়া তথ্য ২৮ই শে সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টায় আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিনে এসে দুলাল মিয়ার টার্কি খামার টি পর্যবেক্ষন করেন, টার্কি ব্যবসায়ী দুলাল মিয়ার সাথে আলাপ কালে জানা যায়, প্রায় ১৯৯১ সালে তিনি আরব দেশ সৌদি আরব এ পাড়ী জমায় এবং প্রবাসে একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান থেকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি দেশে এসে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে এমতাবস্থায় বিভিন্ন ইউটিউবে ইন্টারনেটের প্রচার প্ররোচনায় টার্কি পালনে একটি সম্ভাবনার দরজা হতে পারে। তিনি তার স্ত্রী সাথে বিষয়টি আলাপ আলোচনা করে,এবং সকল জল্পনা কল্পনার অবসন ঘটিয়ে দুলাল মিয়া তার জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উপায় টার্কি খামার করার বিষয়টি স্থীর করেন।এবং আত্বীয় স্বজন বন্ধুদের নিকট হতে সামান্য টাকা নিয়ে ১৫ জোড়া টার্কি দিয়ে শুরু করেন বাড়ীতে থাকার ঘরের পাশে থাকা চোট্ট একটি ঘরের চারপাশ নেট জাল দিয়ে কোন রকম ভাবে বলা যায় কেননা টার্কির উপযুক্ত পরিসর কিংবা কোন সেড আমাদের প্রতিনিধির চোখে পড়েনি, জানতে চাইলাম টার্কির পালনে উপযুক্ত জায়গা কিনা?জবাবে দুলাল মিয়া আমাদের প্রতিনিধি কে তাহার বাড়ীর বিতরে থাকা আরো ২/৩ টি ছোট খাঁচা প্রজাতির কক্ষ দেখাতে নিয়ে গেলে সেখানে ও অনেক গুলি টার্কি দেখা যায়,সর্বমোট বর্তমানে ৪টি আলাদা আলাদা স্থানে প্রায় ৬০০ টার্কি পাখি রয়েছে ছোট বড় মিলিয়ে জানান দুলাল মিয়া নামের এই খামারি।এছাড়াও রয়েছে একটি ডিম পুটানোর মেশিং যা পুরাতন ভাবে তিনি ক্রয় করেছেন, ধারন ক্ষমতা রয়েছে ৬০০ টি ডিমের।পরিবারের ১ টি মেয়ে ও ছেলের পড়ালেখা পরিবারের ভরনপোষণ এর লক্ষে প্রচন্ড আগ্রহ পরিশ্রম মেধা এবং স্থানীয় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পশু অধিদপ্তর থেকে ট্রেনিং নিয়ে তিনি নিয়মাবলী মেনে শুরু করা সেই ১৫ জোড়া থেকে বর্তমানে প্রায় ৬০০ মুরগি নিয়ে একটি মানসম্মত টার্কি উপযোগী সেড ঘর নির্মাণ না করতে পেরে অনেকটাই হতাশায় পড়ে আছেন এই খামারি।তিনি জানান নিজের পরিবার আর্থিকভাবে মারাত্মক সংসটে থাকার কারনে তিনি এখন টার্কি পাখি বিক্রি ও ডিম বিক্রি করে স্থানীয় গ্রাম মহিলা সমিতি থেকে নেওয়া কিস্তি ও টার্কি পাখির খাদ্য চিকিৎসা কোন ভাবে চালাচ্ছে। কিন্তু এতে তার টার্কি নিয়ে ভাগ্যবদলানোর কোন সম্ভাবনার আশংকা দেখা মিলবেনা বলেও তিনি জানান।এমতাবস্থায় এই উদ্দ্যেগি খামারি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাপর ইকবাল ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর পশু বিভাগ সহ বিভিন্ন উন্নয়নী সংস্থায় আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন।তিনি বলেন আমি পরিশ্রম করতে একটু কৃপনতা করিনা এই টার্কি পালনে সঠিক সহযোগিতা পেলে আমি সাবলম্বী হবো তা নয় শুদু আমার দেখা এলাকার অসংখ্য বেকার যুবকের মধ্যে একটি সম্ভাবনা ময় নিশ্চিত আয়ের উৎস হতে পারে এই পেশা।বর্তমানে দুলাল মিয়ার অনপোযোগি জায়গায় সুস্থ সুরুক্ষিত থাকা টার্কি পাখির আনুমানিক মূল্য ১৫/১৮ লক্ষ টাকা হবে বলে জানান এই খামারি,যার জন্য দৈনিক ২/৩ হাজার টাকা খাদ্য ক্রয় করতে ও এবং সমিতির কিস্তি প্রদান পরিবার নিয়ে আজ ব্যপক দূর্চিন্তায় ভোগ করা এই দুলাল মিয়ার স্বপ্নের বিষয়টি সকলের দৃষ্টি কেড়ে নিবেন,তিনি পরিশেষে জানান কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকারি সহায়তা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা না পাওয়া গেলে ও তিনি তার জীবনের সর্বশেষ আয়ের উৎস হিসেবে টার্কি পালন কে বেচে নিয়েছেন,ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তিনি বলেন আর্থিক খাতে সামান্য সহযোগিতা পেলে তিনি তার পালিত টার্কি জাপানে এক্সপোর্ট করে দেশের সুনাম বয়ে আনবেন।আমরা নিঃসন্দেহে সকলে এই টার্কি নিয়ে গবেষণা করা পরিশ্রমী দুলাল মিয়ার সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে বলতে চাই সরকারের সফল রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব এমপি, ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল উপজেলায় দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা গন এই উদ্দ্যেগি মানুষটির স্বপ্ন পূরনে সহযোগিতার হাত বাড়ীয়ে দিবেন। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment