একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নে মঙ্গলবার বিকেলে মাদারপুরের শ্যামল-মঙ্গল-রমেষ স্মৃতি বিদ্যানিকেতনের সামনে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় জেলা প্রশাসকের নিকট সাঁওতালদের পক্ষে সুফল হেমরম, ফিলিমন বাস্কে, পিচিলা মুরমু ও রাফায়েল হাজদা বলেন, স্থায়ী ভাবে স্কুল না থাকায় আমাদের সন্তানদের লেখাপড়া বিঘ্ন হচ্ছে। তাই স্থায়ী স্কুল স্থাপন করে তা শ্যামল-মঙ্গল-রমেশের নামে জাতীয়করণের দাবি জানান।
সাঁওতাল নেতারা বলেন, সাঁওতাল পল্লীর অসহায় দুঃস্থ্য, অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এখনো কষ্ট করে জীবন যাপন করছে। তাদের নামের তালিকা করে সরকারি সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি করা হয়।
জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল দীর্ঘ সময় ধরে সাঁওতালদের কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি বলেন, বিধবা নারীদের বিধবা ভাতা, বয়স্কদের জন্য বয়স্ক ভাতা ও দুঃস্থ্যদের পর্যায়ক্রমে ভিজিডি’র আওতায় আনা হবে। গৌতম চন্দ্র পাল বলেন সাঁওতাল শিশুদের লেখাপড়ার জন্য ‘শ্যামল-মঙ্গল-রমেশ স্মৃতি বিদ্যানিকেতনের উন্নয়নের নগদ আড়াই লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই বিদ্যানিকেতনে স্বেচ্ছাশ্রমে চারজন শিক্ষক পাঠদান করায় তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা পুরুস্কৃত করা হয়।
এ ছাড়াও জমি আছে-ঘর নাই এমন সাঁওতাল পরিবারকে আশ্রয়ের জন্য ইউএনওকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সাঁওতালদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পালের সঙ্গে ছিলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামকৃষ্ণ বর্মন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল রাফিউল আলম, ওসি মজিবুর রহমান, ওসি (তদন্ত) আফজাল হোসেন।
সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সহসভাপতি ফিলিমন বাস্কে জানান, জেলা প্রশাসকের বক্তব্যে তারা খুশি হয়েছেন এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment