কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাপের কামড়ে এক হত দরিদ্র শ্রমিক এর মৃত্যু হয় ১৭ই সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায়।।”।
জানা যায় যে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল আনুমানিক আটটায় কর্মস্থল উপজেলার ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছুপুয়া আমির শার্টস লিমিটেড এর ষ্টোর রুম, ড্রেন ও অপরিচ্ছন্ন আঙ্গীনা পরিস্কার করার সময় একটি সাপ তার পায়ে কামড় দেয়।।”।
এসময় গার্মেন্টস্ এর অন্য শ্রমিকেরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়, পরে কুমিল্লা সিএমএইচ (ক্যান্টনমেন্ট) হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।নিহত গার্মেন্টস শ্রমিক আব্দুল খালেক (২৭) গাইবান্দা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পুটিয়া বাগুর এলাকার মনারুল ইসলাম এর পুত্র।নিহত শ্রমিক দীর্ঘ দিন যাবত ইউনিয়নের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ছুফুয়া পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন আমির শার্টস্ লিমিটেডের শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে ও নিহতের শশুর আবু তাহেরের সাথে কথা বলে জানা যায়, আব্দুল খালেক দুই কন্যা সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়ী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে বসবাস করতেন।।”।
সাপের কামরে নিহত শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ব্যাপক রহস্যে দেখা যায়।এবং রহস্যের উদঘাটন করতে কুমিল্লা জেলা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় কর্মরত গন মাধ্যম কর্মীরা হাজির হয় নিহতের ঘটনাস্থল আমির শার্টস্ লিমিটেড এর কার্যালয়ে।।”।
উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে একাধিক বার নিহত শ্রমিক এর বিষয়ে এলোমেলো ভুল তথ্য এবং মৃত্যুর স্থান নিয়ে ব্যাপক হযবরল কথা বলেন প্রতিষ্ঠান টির ব্যাবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা একরামুল হক।কর্মরত দায়িত্বশীল ব্যক্তির এমন কথায় রহস্যর বিষয়টি বুজতে পেরে সাংবাদিক বৃন্দ রা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে,এতেই প্রতিষ্ঠান এর দায়িত্বে থাকা একরামুল হক এর পূর্ব বক্তব্য সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট বলে প্রমানিত হয়,এই বিষয়ে পূনরায় আলাপ করতে একাধিক বার চেষ্টা করা হলে ও তিনি উপস্থিত গন মাধ্যম কর্মীদের সাথে কৌশলগত ব্যবহারে ব্যস্ততা দেখিয়ে এমন মর্মাহত মৃত্যুর বিষয় টি নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।।”।
এ বিষয়ে আমির শাটস্ এর ডিজিএম আব্দুল মজিদ বলেন আমি এইমাত্র শুনেছি সে মারা গেছে।।”।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ্ আল-মাহফুজ শ্রমিক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।।”।
এদিকে নিহত আব্দুল খালেকের স্ত্রীর মুন্নী বেগমের সাথে আলাপকালে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন গার্মেন্টস্ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তারা উনাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়, যার কারণে পরিপূর্ণ চিকিৎসা না নেওয়ায় উনার অকাল মৃত্যু হয়। অথচ কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালের ডাক্তার উনাকে ভর্তি দিয়ে চিকিৎসা নিতে বলেছিলেন। এবিষয়ে তারা আমাদের কাউকে কিছু না জানানোর কারনে আমরাও উনার চিকিৎসা করাতে পারিনি সঠিক সময়ে।।”।
আমাদের প্রতিনিধি পূনরায় আলাপ করেন গার্মেন্টস এর ডিজিএম এর সাথে তিনি জানান বিষয়টি তিনি অবগত হওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, এই বিষয়ে পরে আলাপ করবেন বলে জানান।আমাদের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি জানান ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের একটি যৌথ তদন্ত কারী টিম তৈরি করা হয়েছে এবং আমির শার্ট গার্মেন্টস এর কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩জন সদস্য বিভিন্ন গোপনীয় বিষয় সাংবাদিকদের জানাচ্ছে।এই বিষয়ে পরিপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শেষে ধারাবাহিক প্রতিবেদন আসবে বলে ও জানান সাংবাদিক সহ যোদ্ধাগন। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment