একুশে মিডিয়া, মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চর এলাকাগুলো ক্রমান্বয়ে তলিয়ে যাচ্ছে।।”।
শনিবার সকাল থেকে রোববার পর্যন্ত ঘন্টায় ফুলছড়ির উপজেলার তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৪ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।।”।
এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রীজ পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ১৭ সে.মি., তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদর পয়েন্টে ৫ সে.মি. এবং করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ২১ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। ।”।
পানি বৃদ্ধির ফলে ফুলছড়ি উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চর এলাকার ২১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।।”।
অপরদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে সুন্দরগঞ্জের ২৭টি গ্রাম বন্যা কবলিত। ফুলছড়ি উপজেলার কাউয়াবাঁধা, পশ্চিম নিশ্চিন্তপুর, চন্দনস্বর, পশ্চিম খাটিয়ামারী, উত্তর খাটিয়ামারী, পূর্ব খাটিয়ামারী, তিনথোপা, পাগলার চর, বুলবুলি, উত্তর হরিচন্ডি, পশ্চিম ডাকাতির চর, আলগার চর, পশ্চিম জিগাবাড়ী, ধলি পাটাধোয়া, গলনা, ভাজনডাঙ্গা, কালাসোনা, কাবিলপুর. রতনপুর, সাতারকান্দি, পূর্ব কঞ্চিপাড়া গ্রামগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান জানান, বন্যায় তেমন একটা ক্ষতি হয়নি।।”।
পানি বৃদ্ধির ফলে ওইসব এলাকার ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে এবং রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যাতায়াত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।।”।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এরেন্ডাবাড়ী ও ফজলুপুর ইউনিয়নের ১০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে।।”।
গত ৪৮ ঘন্টায় অন্তত ৭০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ফলে হাড়ুডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।।”।
উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ি, ভাটিয়াপাড়া, হরিচন্ডি ও সন্যাসীর চর এলাকায় ৮০টি পরিবার এবং ফজলুপুর ইউনিয়নের উজালডাঙা, চৌমহন, কৃষ্ণমণি, বাজেতেল কুপি, মধ্য খাটিয়ামারী, পূর্ব খাটিয়ামারী এলাকার ২০০ পরিবার নদী ভাঙনের কারণে সম্প্রতি গৃহহীন হয়েছে। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment