একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সহ-সভাপতি বখতেয়ার নূর সিদ্দিকি’র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার বিকালে নাগরিক স্মরণ সভা পরিষদ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে স্মরণ সভার আয়োজন করে।।”।
স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, একজন রাজনীতিবিদের অনেক গুণাবলী থাকা প্রয়োজন। আদব কায়দা,শিষ্ঠাচার,সম্মানবোধ, আদর্শের প্রতি আনুগত্য, দেশপ্রেমের চেতনা নানা গুণাবলী সমন্বয়ে একজন মানুষ একজন রাজনীতিবিদে পরিণত হয়। বখতেয়ার নূর সিদ্দিকী ছিলেন এসব গুণাবলীর সমন্বয়ে তৈরি হওয়া একজন রাজনীতিবিদ। প্রথম জীবনে তিনি বাম রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পদবি তার কাছে কোনদিন মুখ্য ছিল না। তিনি জনকল্যাণকেই রাজনীতির মূল উপজীব্য করে নিয়েছিলেন। নেতা নয়;একজন নিবেদিত,ত্যাগী কর্মী হওয়ায় ছিল বখতেয়ার নূর সিদ্দিকীর আদর্শ। তিনি দেশপ্রেমের চেতনাকে ধারণ করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জনকল্যাণে কাজ করে গেছেন। রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনকল্যাণ। ভোগ নয়,ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে জনকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছিলেন বখতেয়ার নূর সিদ্দিকী। নতুন প্রজন্মকে বখতেয়ার নূর সিদ্দিকীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনৈতিক চর্চা করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ।”।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে তার রাজনৈতিক সহকর্মী মরহুম বখতেয়ার নূর সিদ্দিকী স্মরণে মুঠোফোনে বক্তব্য রাখেন।ফোনে তিনি বখতেয়ার নূর সিদ্দিকীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার সাথে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন,বখতেয়ার এদেশের মুক্তি সংগ্রামের একজন অকুতোভয় যোদ্ধা ছিলেন। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ছয় দফা আন্দোলন,৬৯’র গণ অভ্যুত্থানে তিনি চট্টগ্রামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে আন্দোলনকে বেগবান করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।।”।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের সাবেক ডীন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক বলেন, চরম আর্থ সামাজিক সংকটের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে সময়। এই সময়ে সুস্থ রাজনীতি চর্চাই হতে পারে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র হাতিয়ার। বখতেয়ার নূর সিদ্দিকী ছিলেন সুস্থ,পরিচ্ছন্ন ও সচেতন রাজনৈতিক চেতনা সমৃদ্ধ একজন মানুষ। তিনি সামনের চেয়ারে বসে রাজনীতি করার মানুষ ছিলেন না। তিনি নিরবে নিভৃতে দেশ সেবা করার আত্মপ্রত্যয়ী একজন মানুষ ছিলেন। নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ মাতৃকাকে পরাধীনতার শিকল থেকে রক্ষার জন্য তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি ছিলেন দেশ ও মানব ব্রতী একজন মানুষ। একজন রাজনীতিকের জীবনে এই গুণাবলী থাকা বাঞ্চনীয়। ।”।
মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী নেতা খোরশেদ আলমের যৌথ সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, এড. মাহাবুব উদ্দিন,আবু তাহের মাসুদ,এড.মুজিবুল হক,সাংবাদিক বালাগাত উল্লাহ,ডা. দিলীপ দে,নুরুল আলম,রাশেদ মনোয়ার,মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, পাহাড়ি ভট্টাচার্য,স্বপন সেন ও মরহুমের ছেলে সুমন সাহেদ সিদ্দিকী প্রমুখ। একুশে মিডিয়া।”।
No comments:
Post a Comment