চট্টগ্রামে উন্নয়ন হবে সমন্বয়ের মাধ্যমে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday 17 September 2018

চট্টগ্রামে উন্নয়ন হবে সমন্বয়ের মাধ্যমে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত-একুশে মিডিয়া





একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

জনগণের ভোগান্তি,দুর্ভোগ দূর করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী সকল সেবা সংস্থার সমস্ত কর্মপরিকল্পনা চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের বাস্কেট থেকে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মকান্ড পরিচালিত হবে।

এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম উদ্যোগ হিসেবে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ,চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। 

গত ১৪ সেপ্টেম্বর নগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরের চলমান উন্নয়ন কর্মকাÐের কারণে সৃষ্ট সাময়িক জনদুর্ভোগের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। এই বিষয়টি নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে চসিক সম্মেলন কক্ষে নগর আওয়ামীলীগ,চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে ত্রিমুখী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ।”।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রথমে বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।তিনি তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)সহ সব সেবা সংস্থাকে সাথে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকাÐ পরিচালনার ঘোষণা দেন । তিনি বলেন, আমরা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান। সরকারের অংশ বিশেষ। নগরবাসী যাতে নগরে চলমান উন্নয়নের সুফল ভোগ করে সে লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সরকারের চলমান উন্নয়ন বার্তা জনগণের দৌর গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের সকল আসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়ে সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার সুযোগ সৃষ্টিতে আমাদের এই উদ্যোগ। এই নির্বাচন আমাদের অগ্নি পরীক্ষা। বাংলাদেশ কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হবে? নাকি স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক চেতনায় পরিচালিত হবে- এখনই সময় তা উপলব্ধির। জনগণের মাঝে এই অমোঘ বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের মাঝে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উন্নয়নের পথিকৃৎ। ।”।
তিনি আরো বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে খাটো করার অপপ্রয়াসে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রতিনিয়ত নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য জনগণের মাঝে নানা ধরণের প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য সৃষ্ট সাময়িক ভোগান্তিকে অনেক বড় করে জনগণের মাঝে প্রচার প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। নানা কুট কৌশল অবলম্বন করে তারা ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সকলকে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে দেশ উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করতে হবে।।”।
তিনি এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড আজ শুধু দেশে নয়। বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে।বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের গণমাধ্যম বন্ধুরা এই উন্নয়ন বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। উন্নয়ন আন্দোলন বাস্তব নিরীক্ষণ করে বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে গণমাধ্যম জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এটাই প্রত্যাশা রাখি। ।”।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মহামন্ত্রে দিক্ষীত হয়ে এদেশের লক্ষ কোটি মানুষ জাতির জনকের হাতে হাত রেখে ,কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র অপকৌশলের মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে স্তব্ধ করে দেয়। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পরবর্তীতে তারা একে একে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে এদেশে পাকিস্তানি ভাবধারা কায়েমের রাজত্ব শুরু করে। সেই অপশক্তি এখনো তৎপর। এখনো তারা দেশে বিদেশে নানা চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা এবং চক্রান্তের কথা আমাদের সহজ সরল জনগণকে বুঝিয়ে দিতে হবে। ।”।
সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, আমার অন্যতম যোগ্যতা হচ্ছে আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। আমি মনে করি এই পরিচয় ছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার কোন কারণ ছিল না। এ নগরে ১২ লাখ পরিবারের বসবাস। তাদের আকাঙ্খা পরিবেশ বান্ধব জলাবদ্ধতামুক্ত পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য একটি নগরী। আর সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজকের সভায় আমার প্রথম ম্যাসেজ হচ্ছে- চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকাÐের সুফল জনগণকে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা সদা সর্বদা প্রস্তুত। দ্বিতীয় ম্যাসেজ- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনী ইশতেহার পূরণে চট্টগ্রাম উন্নয়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাÐ পরিচালনা করছেন। এর সাথে যোগ করতে হয় কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কাজ। এটি সহ চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকারের বর্তমান প্রকল্প ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ।”।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। সরকারের ধ্যান,জ্ঞান জনগণের সেবা আর উন্নয়ন। উন্নয়ন,সেবা ছাড়া এ সরকার বিকল্প কিছু চিন্তা করে না। তাই চট্টগ্রাম নগরী উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এত আন্তরিক। তিনি চলমান এসব উন্নয়নের কারণে জনগণের সাময়িক দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উন্নয়ন কর্মকাÐ হাতে নেয়া ও পরিচালনা করা কঠিন প্রক্রিয়া। কিন্তু আমরা কঠিনকে ভয় পাইনি। অতীতের সরকারগুলো যেকোন কারণেই হোক চট্টগ্রাম নগরী উন্নয়নে কোন মেগা প্রকল্প হাতে নেয়নি। বর্তমান সরকারের নেয়া এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞের কারণে সাময়িক ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি সৃষ্ট ভোগান্তি লাঘবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ নগরীর সব সকল সেবাসংস্থা এবং নগর আওয়ামী লীগের সহযোগিতা নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। ।”।
নগরীর জলবদ্ধতা প্রকল্প প্রসঙ্গে সিডিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, এ প্রকল্পের কাজ মাত্র ১ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পের সকল সফল বাস্তবায়নে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। তিনি নগরীতে চলমান সব সেবাসংস্থার উন্নয়ন কর্মকাÐকে একত্রিত করে নগরবাসীকে এর সুফলের বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য নগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার প্রস্তাব দেন। আমাদের কাজ হচ্ছে সহায়ক ভূমিকা পালন করা যাতে করে জনগণের কষ্ট লাঘব হয়। সিডিএ’র চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের চলমান টানেলের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম নগরী উন্নয়ন ক্ষেত্রে ৫০ বছর এগিয়ে যাবে। ।”।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও সিডিএ’র চেয়ারম্যানকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহŸান জানান। তিনি বলেন, আমাদেরকে সরকারের সমস্ত অর্জন জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। এই নির্বাচন আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনে জয় লাভ করলে বাংলাদেশ জয় লাভ করবে। এই নির্বাচনে আমাদের বিজয়ের বিকল্প কিছু নেই। ।”।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন মেয়রকে উন্নয়ন কাজের জন্য সাময়িক বন্ধ থাকা আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের এক পাশ সাধারণ জনগণ ও যান চলাচলে সুবিধার্থে খুলে দেয়ার আহŸান জানান। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু এক্সেস রোড উঁচু করণের জন্য এলাকার জলাবদ্ধতা নিত্য সমস্যা বলে উল্লেখ করেন।তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার জলবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ সিস্টেম ব্যবস্থা উন্নয়নের ব্যাাপারে মত প্রকাশ করেছেন। ।”।
সভায় নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক চন্দন ধর, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল আহাদ,চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ,চউক প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দীন ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী কাদের নেওয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। একুশে মিডিয়া।”।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages