একুশে মিডিয়া, মোঃ আরিয়ান আরিফ. ভোলা:
ভোলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে খুব কম সংখ্যক শিল্পী রয়েছেন যারা অল্প সময়ে নাম-খ্যাতি অর্জন করেছেন, তাদের মধ্যে তালহা তালুকদার বাঁধন অন্যতম। এক কথায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক আলোচিত নাম। তাকে জেলার উজ্জ্বল নক্ষত্র বলা চলে। গান, নাটক ও উপস্থাপনা এ তিন বিষয়ের প্রত্যেকটিতে তিনি যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন।
দ্বীপজেলা ভোলার বর্তমান সময়ের যে ক’জন গুনি শিল্পী রয়েছেন তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে তিনি ইতিমধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। হাজারো ভক্তের মুখে তার নাম।
বাঁধন শুধু জেলাতেই নন, তিনি পরিচিতি জেলার বাইরেও। ইতিমেধ্যই দেশের বিভিন্ন জেলায় পারফরমেন্স করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। তরুন বয়সী এ শিল্পী সুরেলা কন্ঠের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন দর্শক-শ্রেতাদের। এ কারনেই তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি এমনই এক শিল্পী যিনি মঞ্চে না উঠলে ওই মঞ্চ জমে উঠেনা। দর্শকদের অধীর আগ্রহ থাকে তাকে ঘিরেই। গানের মঞ্চ জমাতে বাঁধনের বিকল্প নেই বলেই মনে করছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুব অল্প সময়ে খুব দ্রুত নাম-খ্যাতি অর্জন করে ভোলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রিয় ব্যাক্তি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তালহা তালুকদার বাঁধন। একই সাথে অগনিত সফলতা রয়েছে তার। গান আর উপস্থাপনায় ঢাকাতেও বেশ পরিচিত তিনি। ঢাকায় বেশ কিছু উপস্থাপনা ও সংগীত পরিবেশন করে প্রশংসিত হয়েছেন।
ভোলা শহরের সার্কুলার রোড এলাকার গোলাম কিবরিয়া ও চাঁদ সুলতানার সন্তান বাঁধন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় বাঁধন। খুব ছোট বেলায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার পদচারনা। এরপর আর তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সফলতা আসছে। তার এ সফলতার ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় সফলতা তিনি এটিএন বাংলার ‘তারকা-তারকাদের তারকা’ প্রতিযোগীতায় চুড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহন করে ভালো পারফর্ম করেন। আধুনিক গানের এ্যালবানটিও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
সংগীত অঙ্গনের পাশাপাশি সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, উৎসব পার্বন, বিশেষ দিন, খেলা-ধূলা ও মিডিয়ার অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় দেখা যায় তাকে। হাস্যেজ্জল বাঁধন শুধু নামেই নয়, সকল ক্ষেত্রেই জনপ্রিয়। সংগীত, উপস্থপনা কিংবা নাটকে বেশ পারদর্শী থাকায় সাংস্কৃতিক অঙ্গন তথা বিভিন্ন মহলে তাকে নিয়ে আলোচনা হয়। দর্শকরা-শ্রেতারা তাকে ভালোবাসেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার ক্যারিয়ার গঠনে ভোলা থিয়েটারের অবদান রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এ সংগঠনটিই তাকে পরিচিত করে তুলেছে।
সুযোগ পেলেই নিজের প্রতিভা বিকাশ করে মুগ্ধ করেন দর্শকদের। দুদান্ত প্রতিভাবান এ তরুন শিল্পী সংগীত অঙ্গনে নিজেকে আরে বেশী প্রতিষ্ঠিত করতে চান। আর সে লক্ষ্যেই এখনও নিরলস চর্চা করে যাচ্ছেন তিনি। একদিন দেশব্যাপী নাম-খ্যাতি হবে এমন স্বপ্ন তার।
তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পাশাপাশি স্নেহ, আদর ও ভালোবাসা রয়েছে ভোলার মানুষের। সংগীত জগতে অনেকটা ভিন্ন কন্ঠের অধিকারী বাঁধন এখন নিজ পরিচয়ে পরিচিত। গত বছর তিনি বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। ঢাকার এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন তিবা তার স্ত্রী। ব্যাক্তিগত জীবনে বেশ সুখী এ দম্পতি।ভোলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ বাঁধন বলেন, মানুষে দোয়া ও ভালোবাসা পেয়ে আজ একটি অবস্থানে নিজেকে দাঁড় করাতে পেরেছি, এ জন্য আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে সংগীত চর্চার মাধ্যমে দেশের একজন খ্যাতিমান শিল্পী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজ জেলার সুনাম বয়ে আনতে চাই। সবার আন্তরিকতা পেলে এ স্বপ্নটি বাস্তবায়িত হবে বলেই বিশ্বাস রাখছি। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment