একুশে মিডিয়া, উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
আজ-সোমবার(২২,অক্টোবর){২৭৪}: এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর গুণি এই শিল্পীর মৃত্যুর বরণ করেন। মৃত্যুার পর তার বাসভবন, শিশুস্বর্গ ও সমাধিস্থল ঘিরে ‘এসএম সুলতান স্মৃতিসংগ্রহশালা’ নির্মাণ করা হয়।
বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুলতানের এই আবাসভূমি দেখার জন্য দর্শনার্থীরা এসে ভিড় করে। চিত্রা নদীর পাড়ে সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা অবস্থিত। জনবলের অভাবে ‘এসএম সুলতান স্মৃতিসংগ্রহশালা’ দিনের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে। বিভিন্ন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও স্মৃতিসংগ্রহশালার পূর্ণতা পায়নি আজও।
২০০৩ সালে ‘সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা’র নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ২০০৬ সালের অক্টোবরে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। দেখভালের জন্য চুক্তিভিত্তিক ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হলেও বর্তমানে তিন জন কর্মচারী রয়েছেন। লোকবলের অভাবে বেশির ভাগ সময় ‘এসএম সুলতান স্মৃতিসংগ্রহশালা’ বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। সুলতান ভক্তরা, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, লোকবলের অভাবে সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা প্রায়ই বন্ধ থাকায় দর্শনার্থীরা হতাশ হয়ে ফিরে যান। দূর-দুরান্ত থেকে অনেক দর্শক এখানে আসলেও তাদের জন্য বিশ্রামের কোন ব্যবস্থা নেই।
এছাড়া সংগ্রহশালায় রাখা সুলতানের ছবি ও ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট হতে চলেছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এসকল সমস্যার সমাধান করা উচিত। দক্ষিণ নড়াইল গ্রামের শিল্পী শাখি নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে, সুলতানের ব্যবহৃত নৌকাটি সংরক্ষণ করা হলেও সেটি অযতেœ-অবহেলায় পড়ে আছে চিত্রা নদীর পাড়ে। সুলতান ভক্তরা আসলে এই নৌকাটি দেখতে আসে। নৌকাটি আরও যতœসহকারে রাখার দাবি জানান তিনি। সুলতানের নিজ হাতে আঁকা অনেক ছবি হারিয়ে গেছে। বর্তমানে স্মৃতি সংগ্রহশালায় যে ছবিগুলো আছে সেগুলো বেশির ভাগ নষ্ট হতে চলেছে। এছাড়া সুলতানের পালিত কন্যা নিহার বালাও শারিরীকভাবে অসুস্থ। নিহার বালার খোঁজ এখন আর কেউ নিতে চায় না।
দ্রুত এই সুলতান কণ্যাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া দাবি জানান তিনি। সুলতান ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু জানান, জনবল ঘাটতি বিষয়টি উপর মহলে জানানো হয়েছে। পর্যায় ক্রমে বিষয়টির সমাধান করা হবে। ছবিগুলো সংরক্ষণ করার আশ্বাস দিয়ে তিনি জানান, গুনি এই শিল্পীকে ঘিরে সেখানে বেশ কিছু উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামিতে আরও অনেক উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে ।
No comments:
Post a Comment