একুশে মিডিয়া, এম ডি হাফিজুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের মাছিয়াকান্দি গ্রামে মুক্তি যোদ্ধার পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো কুখ্যাত রহমত রাজাকারের শিষ্য আব্দুস সোবহান ঠান্ডু নাশকতার মামলায় আটক করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ। গত মঙ্গল বার সন্ধায় সলঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার সবুজ এর নেত্রীত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সলঙ্গা থানার মাছিয়া কান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে নাশকতা মামলার পলাতক আসামী কুখ্যাত রাজাকার আব্দুস সোবহান ঠান্ডু কে আটক করেন। পরে গত ০৩/১০/১৮ বুধবার কোর্টে চালান করলে কোর্ট জেল হাজতে প্রেরন করে।
স্থানীয় আওয়ামী নেতারা বলেন, আটক আব্দুস সোবহান ঠান্ডু বিএনপি জামায়াতে সক্রিয় নেতা ।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে-মাছিয়া কান্দি গ্রামের মৃত আবুল ফজল সরকারের ছেলে আব্দুস সোবহান ঠান্ডু,স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার বয়স ছিলো ১৫/১৬ বছর।
এক সময় সে তেলকুপি গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার রহমত আলীর নেত্বীত্বে সলঙ্গা হাইস্কুল মাঠে রাজাকারের ট্রেনিংয়ে অংশ নেয় । ওই সময় আরও অনেকেই ছিলো। সে বিভিন্ন গ্রামে রাজাকারের ট্রেনিং দিয়ে বেড়াইত বলে তিনি নিজেই এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
যুদ্ধকালীন সময় খান সেনারা চড়িয়া, রানীনগর ও আড়ংখোলা গ্রামে হামলা চালালে ২০/২১ জন কে গুলি করে হত্যা করে। আমি স্লোগান দিই-পাকিস্তান জিন্দাবাদ,হাম রাজাকার হাই বলায় আমি পাক সেনাদের হাত থেকে বেঁচে যাই। প্রতিবেদককে এমনটিই বলছিলেন কুখ্যাত রাজাকার রহমতের শিষ্য আব্দুস সোবহান ঠান্ডু।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসীর অনেক প্রবীণ সংবাদদাতাকে বলেন-আব্দুস সোবহান ঠান্ডু খান সেনাদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার পর আরও ভয়ংকর হয়ে উঠে, এলাকায় বাড়তে থাকে জুলুম, নির্যাতনের ঘটনা।
মাছিয়া কান্দির পাশের গ্রাম চরিয়া কালীবাড়ীতে হামলা করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বসত বাড়ী ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ হত্যা,লুট, ধর্ষণ ও ভয় ভীতি দেখিয়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীর মুক্তিযোদ্ধারা কুখ্যাত রাজাকার রহমত আলীকে হত্যা করলে আব্দুস সোবহান ঠান্ডু আত্নগোপন করে।দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে লোক সমাজে আবির্ভুত হয়ে-স্বাধীন বাংলাদেশে স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর গুন গান শুরু করে সে ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের ট্রেনিং করেছিল বলে গ্রামে প্রচার করে।
এক প্রর্যায়ে সে পলাশ ডাংঙ্গা যুব শিবিরের কমান্ডার বীর মুক্তি যোদ্ধা জননেতা আব্দুল লতিফ মির্জার একটি সার্টিফিকেট জাল করে নিজেকে মুক্তি- যোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়াতো। তার স্ব-পক্ষ্যে গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাঁজী এবি এম আব্দুল হাই সিদ্দিকীর নিজ প্যাডে ০১/০৩/১০ ইং তারিখে সহযোগি মুক্তিযোদ্ধার প্রত্যায়ন পত্র দেন,এনিয়ে এলাকার সচেতন ও রাজনৈতিক মহলে নানা সমালাচনা শুরু হয়।
এ-বিষয়ে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার
গাজী তোজাম্মেল হকের এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আব্দুস সোবহান ঠান্ডু কখনওই মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে নি। সে প্রকৃত পক্ষেই এক জন কুখ্যাত রাজাকার। তার দাখিল কৃত সব সার্টিফিকেট ইতিমধ্যেই ভুয়া প্রমানিত হয়েছে।।মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দান কারী এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে আইনত ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্যে দাবী জানান।
No comments:
Post a Comment