![]() |
একুশে মিডিয়া, সাজেদুল ইসলাম টিটু, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যমন্ডিত স্থান পাথর ঘাটা। এক সময় মহীপাল রাজার রাজধানী ছিল পাথর ঘাটা।
![]() |
কয়েক'শ বছরের পুরাতন জনপদ এটি। ইসলাম প্রচারে মধ্যপ্রাচ্য থেকে এখানে এক সুফী সাধকের আগমন ঘটে। মৃত্যুর পর পাথরঘাটাতেই তাকে দাফন করা হয়।
পাঁচবিবি শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার পূর্বে তুলসি গঙ্গা নদীর তীরঘেঁষে এর অবস্থান। ওই স্থানে ও নদীতে রয়েছে অসংখ্য ছোটবড় পাথর এবং বড় বড় রেইন্ট্রি গাছ। সবুজের সমারোহে ঘেরা পাথরঘাটার মনোরম পরিবেশ দেখে যে কেউ বিমোহিত হয়ে পড়েন। তবে ইদানীং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে সবুজের ভিতরে মলিনতার ছাপ। প্রতিদিন লোকজন এখানে ঘুরতে আসে। আবার কেউ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে। প্রতি বছর একবার ওরশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতি শুক্রবার ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ও অন্যান্য দিন ৪'শ থেকে ৫'শ টাকা মাজারের সিন্দুকে জমাপড়ে। বার্ষিক ওরশে বিপুল পরিমান চাল,ডাল ও গবাদী পশু দান করে অনেকে। বেশ কিছু ফলদ গাছ রয়েছে। মাজারের কিছু পুরানো গাছ বিক্রি করা হয়েছে বলেও স্থানীয় লোকজন জানায়।
প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক প্রাচুর্যের মধ্যে ডুবে থাকা পাথরঘাটা মসজিদটি অবহেলিত। মাজারটি টাইলস বসিয়ে চকচকে করা হলেও মসজিদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। ছাদ ঢালাইয়ের রড বের হয়ে তাতে মরিচা ধরেছে। ভিতরের ওয়াল গুলি স্যাঁত স্যাঁতে। মসজিদে অজুখানাও নেই।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পাথরঘাটার দায়িত্বে থাকার সময় এখানে রন্ধন শালা,ঈদগাহ্ মিম্বার, পুকুরের ঘাট বাঁধাই ও দর্শনার্থীদের বসার জায়গা হয়েছে। পাথরঘাটায় ব্যয়ের চেয়ে আয়ের খাত অনেক বেশি হলেও উন্নয়ন চলে শামুক গতিতে।
মসজিদের ইমাম আইয়ুব আলী বলেন,পাথরঘাটা মাজারের সিন্দুকে গত শুক্রবার ৩'হাজার ২'শ টাকা জমাপড়েছে। প্রতিদিনই লোকজন দান করে, তবে শুক্রবার বেশি টাকা ওঠে। তার মাসিক বেতন ১' হাজার টাকা ও মুয়াজ্জিনের বেতন ৯'শ টাকা। যা মাজারের একদিনের আয়ের চেয়েও কম। কমিটি ইচ্ছে করলে মসজিদটি সংস্কার করতে পারে। তাতে টাকার অভাব হওয়ার কথা নয়।
আমরা পাঁচবিবি উপজেলাবাসী ঐতিহাসিক পাথরঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সম্ভাবনার প্রতি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
No comments:
Post a Comment