"অনেক আগে নচিকেতার একটা গান শুনেছিলাম - এলাকায় প্রতিরোধ হচ্ছে ডাকাতি করা যাচ্ছেনা, চল ডাকাত কমিটি করি"-- আজ দুদিন ধরে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির নামে চালানো ভয়াবহ নৈরাজ্য আসলে মানুষ খুনের লাইসেন্স চাওয়ার মতই মনে হলো।
শ্রমিক ফেডারেশনের ৮ দফা দাবীগুলোঃ
১. সড়ক দুর্ঘটনায় মামলাগুলো জামিনযোগ্য করতে হবে।
২. শ্রমিকদের অর্থদণ্ড ৫ লক্ষ টাকা করা যাবেনা।
৩. দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখতে হবে।
৪. ড্রাইভিং লাইসেন্সের শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণী করতে হবে।
৫. ওয়েস্কেলে ( ট্রাক ওজন স্কেল) জরিমানা কমানোসহ শাস্তি বাতিল করতে হবে।
৬. সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৭. গাড়ী রেজিস্ট্রেশনের সময় শ্রমিকের নিয়োগপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাঃ সম্পাদকের সত্যায়িত স্বাক্ষর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. সব জেলায় ব্যাপক হারে প্রশিক্ষণ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করতে হবে এবং লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।
আমাদের কথা হলো-শ্রমিকদের দাবী নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করা যেত অথবা কোন সংগঠন তাদের বিভিন্ন দাবীর জন্য নিজেদের কর্মবিরতি করতেই পারে কিন্তু এক্ষেত্রে তারা কর্মবিরতির নামে লাঠিসোটা নিয়ে যাত্রীদের উপরও হামলা চালিয়েছে। সারাদেশে তারা রিক্সা, অটোরিকশা, মোটর সাইকেল, প্রাইভেট গাড়ী চলাচলে বাধা দিয়েছে। অনেক জায়গায় তারা রাস্তায় গাড়ী চালানোর অপরাধে প্রকাশ্যে চালকের মুখে পোড়া মোবিল মাখিয়ে দিয়েছে, তাদের মোবিল সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা পায়নি স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত। তাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে রোগীবাহী এম্বুলেন্স এবং তাতে আটকা পরে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ৭দিনের অসুস্থ শিশুর। নিঃসন্দেহে বিষয়গুলো কর্মবিরতির নামে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা, বর্বরতা আর অসভ্যতা ছাড়া কিছুই নয়।
আমরা চাই আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করুক।
লেখক: সুশীল দে টুটু
No comments:
Post a Comment