একুশে মিডিয়া, কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আমন ফসল ও আগাম শীতকালীন শাকসবজি বীজতলাসহ প্রায় ৩’শ হেক্টর ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
কুতুবদিয়া কৃষি অফিস সুত্রে প্রকাশ,ঘূর্ণিঝড়“তিতলির”প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকালের দিনের জোয়ারে কুতুবদিয়া উপকূলের নিম্মাঞ্চল নোনা জলে প্লাবিত হলে আমন চাষ ও আগাম শীতকালীন শাকসবজির বীজতলা তলিয়ে যায়। কুতুবদিয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৩৮৫০ হেক্টর আমন চাষ হচ্ছে। এরমধ্যে ৫০ হেক্টর আমন ফসল নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও ২৫০ হেক্টর শীতকালীন শাকসবজি মধ্যে বীজতলার ৩০হেক্টর তলিয়ে গেছে। এসব চাষাবাদের সাথে দ্বীপের তিন হাজার কৃষক জড়িত। এতে প্রান্তিক কৃষকদের প্রায় কোটি টাকার সমপরিমান ফসল ক্ষতি হতে পারেন বলে ধারণা করেন।
আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের আনিচের ডেইল এলাকার কৃষক আবদু ছালাম বলেন, চলতি মৌসুমে দুই হেক্টর আমন চাষ করে। জমি আগাম নিতে হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৪৮ হাজার টাকা ,সার, কীটনাশক, মজুরী শ্রমিক বাবদ ১৫ হাজার টাকা মিলে প্রতি হেক্টরে মোট ৬৩ হাজার টাকা খরচ পড়ে। এ রকম চলতি মৌসুমে দুই হেক্টর আমন চাষে খরচ পড়েছে প্রায় এক লাখ ২৬ হাজার টাকা। আমন ধান পাকার ভরা মৌসুমে ফসলে নোনা জল উঠায় সর্ম্পূণ ফসলে মরণ ধরেছে। এখন মহাজনের সুদের বুঝায় দেশ পালানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে এ প্রতিনিধিকে জানান।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ারা বেগম বলেন, কুতুবদিয়া উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ২১ কিলোমিটার ভাঙ্গা থাকায় ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩/৪ ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে নোনা জল লোকালয়ে ঢুকে ফসলি জমি ও শীতকালীন শাকসবজির বীজতলা প্লাবিত হয়। এতে কৃষকদের চরম ক্ষতি হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ আশিক জামিল মাহমুদ বলেন, কুতুবদিয়া দ্বীপের মাটির উর্বরতার ফলে চলতি মৌসুমে আমন ফসল ভাল হয়েছে। আগাম শীতকালীন শাকসবজির বীজতলার চারাগুলো ভাল হয়েছে। দূযোর্গের কবলে পড়ে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭১ পোল্ডারের ২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা থাকায় সাগরের নোনা জল দ্বীপের ফসলি জমিতে উঠায় আমন ফসল কাটার ভরা মৌসুমে পাঁকা ধনের ফসলি জমি প্লাবিত হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধূরী লেন, কয়েক বছর পূর্বে থেকে কুতুবদিয়া দ্বীপের ২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা দিয়ে নোনা জল ঢুকে কৃষকদের পাকাঁ আমান ফসল ও আগাম শীত কালীন শাকসবজির বীজতলা প্লাবিত হলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বর্তমানে কৃষকদের ঘরে ঘরে অভাব অনটনে দূর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment