একুশে মিডিয়া, মোঃ আরিয়ান আরিফ, ভোলা থেকে:
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ৬ নং ওয়ার্ডে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষক কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা। বুধবার সকালে বাপ্তা ৩৭নং চরপোটকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৩৭নং চরপোটকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর কেয়া (১০) নামে এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন তার লাইব্রেরীতে ডেকে এনে প্রথমে বাতাস করতে বলে। পরে ঐ ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। স্কুল ছুটির পরে ওই ছাত্রী বাড়ীতে গিয়ে তার মা তাসলিমাকে বিষয়টি জানালে তিনি স্থানীয় আরো অভিবাবকদের নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করেন। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি অস্বীকার করলে এক পর্যায়ে স্থানীয় অভিবাবকরা প্রধান শিক্ষককে মারধর করে এবং তার গায়ের পাঞ্জাবী ছিড়ে ফেলে। এসময় স্থানীয় এক যুবক তাকে উদ্ধার করে স্কুলের দোতলায় নিয়ে নিচের প্রধান গেট তালাবদ্ধ করে। এই প্রতিবেদক বুধবার ১১ টার সময় বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেছেন প্রধান গেট তালাবদ্ধ এবং নিচে অভিবাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করছে।
এদিকে তালা খুলে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে গিয়ে দেখা যায় প্রধান শিক্ষকের ছেলে, স্ত্রী মেয়ে ও সাবেক প্রধান শিক্ষক অবস্থান করছেন। এ সময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জানান, হঠাৎ কিছু লোকজন এসে তার উপর হামলা করে। পরে তিনি নিরাপত্তার জন্য গেট তালাবদ্ধ করে রেখেছেন এবং ঘটনার বিষয়টি সাজানো বলেও জানান তিনি।
শিক্ষক দ্বারা স্কুল ছাত্রী যৌন হয়রানির এমন খবর পেয়ে ভোলা সদর থানার এসআই মোফাজ্জল ও জিহাদ এর নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যান। তখন সেখান থেকে ওই প্রধান শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসেন। এই সময় স্থানীয় অভিবাবকরা তার বিচারের দাবীতে পুলিশের সামনে স্লোগান দিতে থাকেন।
ঘটনা সম্পর্কে বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম খাঁন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুধু কেয়া নয়; আরো একটি ছাত্রীকে খারাপ ভিডিও দেখিয়েছেন মহিউদ্দিন স্যার।
এই বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) ছগির মিয়া সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনার খবর শুনে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তার বিরুদ্ধে রাত সাড়ে ১০টা (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) মামলার প্রস্তুতি চলছে।একুশে মিডিয়া।
No comments:
Post a Comment