হরিপুরে পাটি তৈরির উপকরণের অভাব-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 31 October 2018

হরিপুরে পাটি তৈরির উপকরণের অভাব-একুশে মিডিয়া



একুশে মিডিয়া, হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: জহরুল  ইসলাম (জীবন):
ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী হরিপুর উপজেলার আমগাঁও, জামুন, কুমারপাড়ার শতাধিক পরিবার পাটি (মাদুর) তৈরির উপকরণের অভাবে বেকার হতে চলছে বলে তাদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
পাটি তৈরির মূল উপকরণ দেশি মথা চাষাবাদ কালক্রমে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় এখন জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য ভিন্ন উপায় অবলম্বন করে নদী-নালা ও খাল বিলে জন্মানো উদ্ভীদ হগলা (পানি মথা) নামে এক প্রকারের জলজ উদ্ভীদ দিয়ে পাটি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে পাটি তৈরির কারিগররা।
সেই পাটি বিক্রি টাকায় জীবন-জীবিকা চালাচ্ছে এই এলাকার কয়েক শত হতদ্ররিদ পরিবার।
গত কয়েক বছর আগে এই সকল হগলা পানি মথা এমনিতেই তারা জলাশয় থেকে কেটে নিয়ে আসত। কিন্ত এখন তা হয় না।
এর কারণ হিসাবে জানা গেছে, নদী-নালা ও খাল-বিলের জলাশয়ে যে সকল কৃষকের জমিতে এগুলো হয় তারা টাকা ছাড়া তাদের সংগ্রহ করতে দেয় না।
তাই এখন হগলা পানি মথা সংগ্রহের জন্য কৃষককে বিঘা প্রতি অগ্রীম ৪-৮ শ’ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। 
জামুন নয়াবস্তি গ্রামের হস্তশীল্পের কারিগর রহিম জানায়, পাটি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করা এটা আমাদের বাপ-দাদার আমলের পেশা। অভাবে কারণে আমরা কোনোমত এ পেশাটাকে ধরে রেখেছি।
কিন্ত বর্তমানে উপকরনের অভাবে ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। উচ্চ মূলে এ সকল উপকরণ ক্রয় করে বাজারে বিক্রি করতে গেলে নায্য মূল পাওয়া যায় না।
বর্তমানে বাজারে একটি বড় পাটি মূল ৫৫-৬০ টাকা, মাঝাড়ি সাইজের পাটি ৪৫-৫০ টাকা, এবং ছোট পাটি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়।
পরিবার পরিজন নিয়ে সারাবছরই দৈন্ন্যদশার মধ্যে জীবন কাটাতে হয়। সরকারিভাবে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাটি তৈরির জন্য মথার চাষাবাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করে কৃষককে উৎসাহ প্রদান করলে আমাদের এই পরিবারগুলো জীবন-জীবিকার পথ খুঁজে পাবে।
এভাবে চলতে থাকলে একসময় গ্রাম বাংলার বাঙালী ঐতিহ্য বিলুপ্ত হয়ে পড়বে।
গরীব-দুখী, খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মেহনতি মানুষকে গ্রাম-গঞ্জসহ শহর অঞ্চলের তাদের ছিন্ন কুটিরে বিছানা পত্রের অভাবে রাত্রে নিদ্রা ও বিশ্রামের জন্য সীমাহীন দূর্ভোগপোহাতে হবে।
এসকল মানুষ, এই ক্ষুদ্রশিল্প ও শিল্পের কারিগরদের বাঁচাতে সরকার যেন উপজেলা পর্যায়ে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে মথা চাষের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। 
এতে তাদের স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাত্রা চলার পথ সুগম করার জোর আবেদন জানিয়েছে।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages