মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সর্বত্র শীত জেকে বসতে শুরু করেছে। সেই সাথে বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি।
উপজেলায় শীতকালীন সবজির ব্যাপক আমদানী হওয়ায় সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে ক্রেতা সাধারণের মুখে হাসি ফুটলেও চাষীর মুখে হতাশার ছাপ দেখা দিয়েছে।
পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ছোট- বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজি পর্যাপ্ত উৎপাদন ও আমদানী থাকায় বাজারে সবজির দাম কমছে বলে বিক্রেতারা জানান। কার্তিক মাস প্রায় শেষ হতে চলেছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ এবং পৌষ মাস জুড়েই শীতকালীন শস্য বেশি আসে বাজারে। ফলে এ সময়ে সব ধরণের সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই থাকে।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ।
বর্তমানে শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি প্রতি কেজি ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, সীম ৩০ টাকা, মূলা ৮ টাকা, লাউ ২৫ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বেগুন লম্বা ১৫ টাকা, বটবটি ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, ওঁল ২৫ টাকা ও পুড়া আলু ৩০ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, জিঙ্গা ৩০ টাকা, পোটল ১৫ টাকা, মরিচ ৩০ টাকা, পিয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, রসুন ৪০ টাকা, আদা ১৪০ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৪ টা (হাস) ৪৮ টাকা, ব্রয়লার ডিম ৪ টা ৩২ টাকা, দরে বিক্রি হচ্ছে ।
সবজি চাষীরা জানান,গত সপ্তাহের চেয়ে এখন সবজি বেশী উৎপাদন হওয়ায় দাম অর্ধেক কমেছে। এভাবে যদি কমতে থাকে তাহলে লোকসানের হিসাব গুণতে হবে। ক্রেতারা জানান, কয়েকদিন আগের চেয়ে বর্তমানে কাঁচা তরকারীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমতে শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ আজিজুর রহমান একুশে মিডিয়াকে জানান, বর্তমান অর্থ বছরে সবজি উৎপাদন একটু বেশি হওয়ায় সবজির দাম একটু কমছে তাতে কৃষক বা চাষীদের লোকশান হওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই।
No comments:
Post a Comment