![]() |
একুশে মিডিয়া, হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের রহমতপুর নুনা থেকে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা করছেন অনেকেই। স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোন নজরদারী।
![]() |
স্থানীয় সূত্র জানায়, রহমতপুর গ্রামের আজিজুল হক অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলায় কোন বালু মহল না থাকলেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে মহলটি। উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে নুনা ও জমি ভাংঙ্গন বাড়ছে । রহতপুর নুনা থেকে অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের নেপথ্যে রয়েছে উপজেলার আজিজুলের।
উপজেলার আজিজুল বালু বিক্রি ও অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নুননা থেকে বালু উওোলনের জন্য নদী-খাল থেকে স্যালো ড্রেজারের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে আবাদি জমির পাশ থেকে স্যালো ড্রেজার দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে আবাদি জমি ধসে অনন্য কৃষকের জমি নষ্ট হচ্ছে ।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, এভাবে বালু উত্তোলন করলে ভূগর্ভের শূন্যস্থান যখন পাশের বালু এবং মাটি পুরণ করতে যাবে, তখন ভূমি ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও বলেন, এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নুনা ভাঙ্গন ও কৃষি জমির ক্ষতি হচ্ছে।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, এভাবে বালু উত্তোলন করার জন্য ড্রেজার মালিকদের আইনগত কোনো বৈধ অনুমতি নেই। সম্প্রতি ৯ দিন ধরে রহমতপুর নুনা থেকে এভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে ড্রেজার মালিকদের অনেকেই নিষেধ করেছে। কিন্তুু তারা কারো কথা শুনতে নারাজ।
বালু উত্তোলন কারী আজিজুলের কাছে অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে বলে অনমোদন নাই। ফসল হচ্ছে না তাই নিজের জমিতে পুকুর করব। বালু বিক্রি করব ও নিজের কাজে লাগাব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি একুশে মিডিয়াকে বলেন, লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করছে। এসব বালু শুধু এই এলাকার অবকাঠামো নির্মাণের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। কাউকে পরেয়া করছে না। বালু উত্তোলন করে চলেছে। ড্রেজার চালক আফজাল কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বালু তোলার জন্য আমাদের কোনো অনুমতিপত্র নেই। আমি কর্মচারী হিসাবে ড্রেজারে কাজ করছি।
![]() |
এ ব্যাপারে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম জে আরিফ বেগ মুটোফোনে একুশে মিডিয়াকে বলেন, বিষয়টি জানলাম এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং আমি অভিযান যাব।
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment