একুশে মিডিয়া, মুক্তমত রিপোর্ট:
লেখক: সুশীল দে টুটু:
ছবির এই হৃদয় সরকার ছেলেটা কে, কি তার পরিচয়, আমি কিছুই জানিনা, তাকে সামনা সামনি দেখার সৌভাগ্যও আমার হয়নি কোনদিন, হয়তঃ হবেওনা। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অার দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সুবাধে কিছুদিন আগে দেখেছিলাম, প্রতিবন্ধী একজন সন্তানকে তার জন্মদাত্রী "মা" কোলে করে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য নিয়ে যাওয়ার একটা মনোরম ও হৃদয়বিদারক(!) দৃশ্য। আমার কাছে দৃশ্যটা সেদিন প্রতিবন্ধী মনে হয়নি, মনে হয়েছিল কোন মা তার স্বপ্নকে পরম যত্নে কোলে নিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে একটা আগামীর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার দৃশ্য। সেদিন শুধু আমি নই, প্রিয় মাটি বাংলাদেশের লক্ষ কোটি স্বপ্নিল মন আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল, অাশায় বুক বেঁধেছিল,-" হৃদয় সরকার রচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশে নতুন এক জিনিয়াসের অনুপম এক দৃষ্ঠান্ত, হৃদয় সরকারদের মত জিনিয়াস যুগে যুগে বেশি জন্মায়না।" দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আজ ৭ নভেম্বরের'১৮ এর সকালটা সত্যিই অামার জন্য শুধু নয়, হয়তোবা নিরবে নিভৃতে লক্ষকোটি স্বপ্নিল মানুষের জন্য অত্যন্ত হৃদয় বিদারকই বঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানলাম,- এই 'হৃদয় সরকার' প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেদিনের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী হবার কারণে। এই যদি হয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এর নীতিনির্ধারক দের ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-চেতনা তাহলে বিষয়টা খুবই দুঃখজনক শুধু নয়, অমানবিকও বঠে। বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ পুনরায় বিবেচনা করে 'হৃদয় সরকার'কে তার স্ব-যগ্যোতায় তার অধিকার বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার জন্য তার প্রাপ্য সুযোগ ফিরিয়ে দেবার জোর দাবী জানাই। পুনর্বিবেচনায় 'হৃদয় সরকার'কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ প্রদান করা তার প্রতি কোন করুনা নয়, বরংচ তার মেধা, যোগ্যতা বলে তার মানবিক অধিকার। অার এমন যদি হয়, সেটা হবে সমগ্র বাংলাদেশের জন্য গৌরবের, অহঙ্কারের অনুপম এক দৃষ্ঠান্ত।
বাংলাদেশের সাধারন একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে অথবা ১৮ কোটি জনতার প্রতিনিধি হিসাবে অামি বাংলাদেশের মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সহ সমাজের সকল সচেতন সুশীল সমাজের প্রতি অাবেদন জানাই, অাকাশের উজ্বল নক্ষত্রখ্যাত 'হৃদয় সরকার'র মানবিক অধিকার পুনর্বহাল করা হউক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, সারাজিবন অদম্য সাহস অার চুড়ান্ত ত্যাগে স্বপ্ন দেখা কালজয়ী এক স্বপ্নিল "মায়ের" স্বপ্নকে গলা টিপে হত্যা করার ন্যাক্কারজনক দৃষ্ঠান্ত থেকে বেঁচে যাক অামার প্রিয় লাল-সবুজের মানচিত্র বাংলাদেশ।গ্রন্থনাঃ সাংবাদিক এনামুল হক রাশেদী
![]() |
No comments:
Post a Comment