নরসিংদীতে আ’লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪জনে দাড়িয়েছে। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday 16 November 2018

নরসিংদীতে আ’লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪জনে দাড়িয়েছে। একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় ফের আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে আজ শুক্রবার। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৬ জন।
আজ শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সকালে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের বালুমাঠ এলাকায় ও দুপুরে নীলক্ষায় গোপীনাথপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- তোফায়েল রানা (১৬), সোহরাব (৩০), স্বপন (২৭) ও অজ্ঞাতনামা আরও একজন।
আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সিরাজুল হকের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় চেয়ারম্যান সিরাজুল হকসহ একাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
এরই জের ধরে শুক্রবার সকালে বাঁশগাড়ি গ্রামের বালুমাঠ এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও বাবুল মেম্বারের সর্মথক ও প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক জামাল, জাকির ও সুমনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল রানা নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় পেয়েরাকান্দী গ্রামের সফর আলীর দুই ছেলে সুমন মিয়া (২৮), মামুন মিয়া (২৫) ও মির্জাচর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে সুমন (২৬)সহ ৬ জন।  তাদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার জের ধরে দুপুর দুইটার দিকে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নীলক্ষার গোপীনাথপুর বীরগাও কান্দাপাড়া গ্রামে ফের আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে সোহরাব মিয়া (৩০) নামে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরও ১০ জন। শুক্রবার বেলা ১টার দিকে বীরগাও কান্দাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহরাব মিয়া একই এলাকার ওসামান মিয়ার ছেলে, একই ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের সোবহান মিয়ার ছেলে স্বপন (২৭)।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নীলক্ষা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক সরকার ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দুপুরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আবদুল হক সরকারের সমর্থকদের উপর হামলা চালায় তাজুল ইসলাম সরকারের সমর্থকরা। তবে আবদুল হক সরকার ও তাজুল ইসলাম সরকার দুজনই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় সদস্য। হামলার এক পর্যায়ে তাজুল ইসলামের সমর্থক সোহরাব মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর গোপীনাথপুর গ্রামের সোবহান মিয়ার ছেলে স্বপন (২৭) মারা যায়। এতে করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হাসপাতালে নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল রানার বাবা আবদুল্লাহ ফকির বলেন, ঝগড়া-বিবাদের জন্য এলাকা ছেড়ে পরিবার নিয়ে নরসিংদী চলে এসেছি। ছেলে পরীক্ষার খোঁজ খবর নিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে দুই পক্ষের গোলাগুলির মাঝে পড়ে তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। এভাবে আর কত বাবার বুক খালি হলে থামবে বাঁশগাড়ির এই রক্তক্ষয়ী বিবাদ? আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।

একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages